কিডনি ঠিক আছে কি না, ঘরে বসেই পরীক্ষা করুন সহজ পদ্ধতিতে

ঘরে বসেই কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা
ঘরে বসেই কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা © সংগৃহীত

কিডনি মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। শরীরে যে রোগই বাসা বাঁধুক না কেন তার প্রভাব কিডনিতে পরে। কিডনি কতটা সুস্থ আছে তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘরেই আপনি সহজ একটা পদ্ধতিতে বোঝা যেতে পারে কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না। 

যেভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি দিনে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ব্যক্তির শরীরের ওজন অনুযায়ী প্রতি কেজিতে ০.৫ থেকে ১ মিলিলিটার মূত্র বের হয়, তাহলে সেটা সাধারণত কিডনি ভালো কাজ করছে এমন লক্ষণ। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ওজন ৬০ কেজি হয়, তবে দিনে ৩০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার মূত্র নির্গত হওয়া স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর পরিমাণ বলে ধরা হয়।

ঘরে বসেই  কীভাবে পরীক্ষা করবেন?
কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলে সহজেই এটি পরীক্ষা করা সম্ভব।
১. এমন একটা সময় বেছে নিন যখন আপনি ১০ ঘণ্টা ধরে নিয়ম করে মূত্র পরিমাপ করতে পারবেন।
২. একটি পরিষ্কার, চিহ্নিত এক লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন বোতল নিয়ে সেখানে মূত্র সংগ্রহ করতে হবে।
৩. ১০ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে যতবার মূত্র হবে, সব এক জায়গায় সংগ্রহ করুন।
৪. শেষে দেখে নিন মোট কতটুকু হয়েছে, এবং আপনার ওজন অনুযায়ী যা হওয়ার কথা ছিল তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।

মাসে এক বা দুইবার এই পরীক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে ‍আপনি যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকে অথবা বারবার ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন। কারণ এগুলো কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আরও পড়ুন : ছোট ‘সুপারফুড’ কোয়েলের ডিমে যত উপকার, খাবেন না কারা

কম মূত্র নির্গমন হলে 
যদি নিয়মিতভাবে মূত্র নির্গমন প্রত্যাশিত মাত্রার নিচে থাকে, তবে এটি ইঙ্গিত দিতে পারে যে কিডনি সঠিকভাবে বর্জ্য ছেঁকে ফেলছে না। ফলে হতে পারে হতে পারে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন), কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া, কিংবা কিডনির কার্যকারিতার প্রাথমিক সমস্যার লক্ষণ।

ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে, কম মূত্র উৎপাদন হল অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি বা হঠাৎ কিডনি বিকলের প্রধান লক্ষণগুলোর একটি এবং যদি এটি স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।

দুর্বল কিডনির কিছু সাধারণ উপসর্গ

- পা, মুখ বা গোড়ালি ফোলা
- সবসময় ক্লান্ত লাগা 
- প্রস্রাব ফেনাযুক্ত বা খুব গাঢ় রঙের হওয়া
- বমি বমি ভাব, মনোযোগ কমে যাওয়া
-  অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা

এই পদ্ধতি শুধু প্রাথমিক নির্দেশিকা। কোনো সমস্যা সন্দেহ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এই পদ্ধতিটি কেবল কিডনি সুস্থতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতে পারে। 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া