এমআইএসটিতে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির উৎসব 'রোবোলিউশন-রাইকন' অনুষ্ঠিত
- ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪১
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-এর উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘রোবোলিউশন ২০২৫’ এবং ৪র্থ আইইইই রোবোটিক্স, অটোমেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ইন্টারনেট অব থিংস (রাইকন) নামক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিন ব্যাপি এই সম্মেলনটি গত ২৭-২৮ নভেম্বর এমআইএসটি প্রাঙ্গণে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্ভাবনী সক্ষমতা বিকাশ, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও ভবিষ্যৎ গবেষণাকে এগিয়ে নিতে এ আয়োজনটি ছিল একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।
দ্বিতীয় দিনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী আয়োজনে বিশেষ গুরুত্ব পায়। ড্রোন রেসিং প্রতিযোগিতা ও ব্যাটল অব বটস-এ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী দলসমূহ প্রকৌশল নকশা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার উ”চমান প্রদর্শন করে। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত পোস্টার প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট শোকেস এবং রোবো অলিম্পিয়াড তরুণ গবেষকদের উদ্ভাবনী চিন্তা, সমস্যা সমাধান দক্ষতা এবং গবেষণামুখী মনোভাবের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটায়।
সম্মেলনের অংশ হিসেবে সারাদিনব্যাপী টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রোবোটিক্স, অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং আইওটি বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন, আলোচনা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এমআইএসটি রোবোটিক্স ক্লাব ও আইইইই বাংলাদেশ সেকশন-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এই সেশনগুলো গবেষক, একাডেমিক ও শিল্প বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি ফলপ্রসূ মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল মু. হাসান-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব দেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে এবং তরুণ প্রজন্মকে নতুন সমাধান ও সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি-নির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ভ‚মিকা রাখতে হবে। তিনি এ প্রতিযোগিতা ও সম্মেলনের আয়োজক, স্পনসর, বিচারক ও স্বে”ছাসেবকদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের প্রশংসা করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এমআইএসটি গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ এবং রোবোলিউশন ও রাইকনের আয়োজনগুলো আগামীর তরুণ উদ্ভাবকদের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।
উৎসব শেষে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে নতুন উদ্দীপনায় কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ করে। আয়োজকদের মতে, এই আয়োজন দেশের প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও প্রতিভা বিকাশের ধারাকে আরও বেগবান করবে।