নারী ফুটবলারদের বেতন দ্বিগুণের নির্দেশনা দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
- ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৩
বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা আন্তর্জাতিক সাফল্য এনে দিলেও তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি তেমন হয়নি। বর্তমানে এশিয়া কাপ নিশ্চিত করা আফিদা–ঋতুপর্ণাদের মাসিক বেতন মাত্র ৫৫ হাজার টাকা। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া মনে করেন, এই বেতন অন্তত ১০০ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন।
শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় টিম এডভাইজার ও ডিপ্লোম্যাটদের মধ্যকার সিরিজ নির্ধারণী প্রীতি ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। ম্যাচটি নির্ধারিত সময় ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে কূটনীতিকদের দল জয় পায়।
ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, নারী অ্যাথলিটদের বেতন নির্ধারণের দায়িত্ব বাফুফে ও বিসিবির হলেও সরকার উভয় সংস্থাকে সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছে। তার ভাষায়, বিসিবি ইতোমধ্যে নারী খেলোয়াড়দের ট্যুর ফি ও ভাতা পুরুষদের সমান করেছে এবং বেতনও ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু বাফুফের আর্থিক সামর্থ্য কম, তাই তারা এখনো বেতন বাড়াতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, নারী ফুটবলারদের বেতন অনেক কম। তাদের শতভাগ বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছি। বাফুফে ফান্ড চেয়েছে, আমরা সেই ফান্ড দেওয়ার চেষ্টা করছি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্রীড়া উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সাফল্যের ভিত্তিতে ক্রীড়াবিদদের আর্থিক বোনাস প্রদান করছেন। ঢাকায় এশিয়ান আরচ্যারিতে ব্রোঞ্জ জেতা আরচ্যারদের ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে টিটি, ভারোত্তোলন, উশু এবং কাবাডি বিশ্বকাপে পদকজয়ীদেরও পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের পর ২ কোটি টাকা বোনাসও ঘোষণা করা হয়। ফেডারেশনগুলোর কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে এবং তালিকা পাওয়ার পর দ্রুত চেক ইস্যু করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সার্চ কমিটির দুই সদস্য অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অলিম্পিকের গাইডলাইন অনুযায়ী সংস্থাটি চলে। অনেককে প্রার্থী হতে বাধা দেওয়া হয়েছে, এটা দুঃখজনক। আমাদের কাছে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নিয়ে অভিযোগ এসেছে, তাই অলিম্পিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক নির্দেশনায় ফেডারেশনগুলোকে বলা হয়েছে যে খেলোয়াড়রা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই খেলোয়াড়রা রাজনীতির দলাদলির বাইরে থাকুক। নির্দেশনা না মানলে ফেডারেশনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
হামজা–সামির আগমনের পর ফুটবলে আগ্রহ বাড়ায় ৫০ হাজার দর্শক ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা জানান, রাজউক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে পূর্বাচলে ৪৫–৫০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম নির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়।
বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে স্টেডিয়ামসহ একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের সম্ভাবনা যাচাই করা হবে।