যশোর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

মফিকুল ইসলাম তৃপ্তির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ
মফিকুল ইসলাম তৃপ্তির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ © টিডিসি

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে ঘোষিত প্রার্থী মফিকুল ইসলাম তৃপ্তির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিস্তৃত বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী। মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে তারা কাফনের কাপড় পরে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে হঠাৎই কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মিছিল গিয়ে অবস্থান নিলে পুরো সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের কারণে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। এ সময় পুরো এলাকা হয়ে ওঠে উত্তপ্ত ও স্লোগানে মুখর।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করে যাওয়া ত্যাগী, পরীক্ষিত ও মাঠের নেতাদের উপেক্ষা করে হঠাৎ একজন ‘সংস্কারপন্থী নেতা’কে মনোনয়ন দেওয়ায় দলের তৃণমূল পর্যায়ে মারাত্মক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই মনোনয়ন অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসি উদ্দীন বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব বলেছেন প্রয়োজনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। আমরা সেই ঘোষণায় বিশ্বাস রেখে আন্দোলন করছি। এই ভুল প্রার্থী বাতিল না হলে বিএনপি এই আসনে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থাকা যুবদল ও ছাত্রদল কর্মীরাও দাবি করেন, “দলের কঠিন সময়ে মাঠে থাকা নেতাদের উপেক্ষা করে ‘অতিথি পাখির’ হাতে মনোনয়ন তুলে দেওয়া হয়েছে।” তারা বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর বাড়িছাড়া, মামলায় জর্জরিত, রাস্তায় সংগ্রাম করেছি। অথচ সেই কঠিন সময়ে কাউকে দেখা যায়নি। আজ তাকে এনে দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে—এটা আমরা মানতে পারি না।’

মহিবুল বলেন, ‘১৭ বছর ধরে সভাপতি আবুল হাসান জহির ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন আমাদের পাশে ছিলেন। তাদের দুজনের একজন ছাড়া এই আসনে কেউ জিততে পারবে না। ধানের শীষের জন্য জীবন দিয়েছি, দেব—কিন্তু অযোগ্য প্রার্থী মানি না।’

প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির পর অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শার্শা-বেনাপোল রাজনৈতিক অঙ্গন এখনো উত্তপ্ত। তৃণমূল বিএনপির কঠোর অবস্থান স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।