বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পরিত্যক্ত এক্সরে রুমে আগুন, কর্মচারী ‘পলাতক’

পিজির ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্লক ভবনের একটি কক্ষে অগ্নিকাণ্ড
পিজির ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্লক ভবনের একটি কক্ষে অগ্নিকাণ্ড © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্লক ভবনের একটি কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভবনের চতুর্থ তলায় ডেন্টাল অনুষদের পরিত্যক্ত ক্লাসরুমের সামনের কক্ষটি এক্সরে রুম হিসেবে ব্যবহৃত হত।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট বেলা ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ফ্যায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে এতে কক্ষের আসবাবপত্র ছাড়া আর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া ডেন্টাল অনুষদের এই এক্সরে কক্ষটিতে রেজাউল করিম নামে এক কর্মচারী অবৈধভাবে থাকতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগে কর্মরত। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়েও তিনি এ ব্লকে কিভাবে বসবাস করতেন এ বিষয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কক্ষটি পরিত্যক্ত হলেও রেজাউল করিম অবৈধভাবে থাকতেন। এক্সরে রুম হওয়ায় এখানে হেভি ক্যাবল ব্যবহৃত হত। ফলে কক্ষটি অগ্নিকাণ্ডের দিক থেকে বিপজ্জনক ছিল।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের ডিন ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা তিন বছর আগে এ ব্লক ছেড়ে আউটডোর-১ ভবনে চলে এসেছি। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে শুনেছি, তবে কোন কক্ষে আগুন লেগেছে তা জানি না। সেখানে কোন ক্যাবল ছিল কিনা তাও আমার জানা নেই।

আরও পড়ুন : প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টারে ঝোঁক কেন বাড়ছে, কারণ খুঁজতে বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

এদিকে আগুন লাগার সময়ে কক্ষটিতে টেবিল ফ্যান চালু ছিল বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন। তারা বলছেন, ওই কর্মচারী ঘটনার সময় কক্ষটিতে ছিলেন না। পরবর্তীতেও তাকে দেখা যায়নি। মোবাইল বন্ধ থাকায় ওই কর্মচারী রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ভবনটির বড় একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের হল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গত ২১ নভেম্বর হওয়া ভূমিকম্পের পর গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) হলটি সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ভবনের পঞ্চম তলার ক্যাফেটেরিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, দ্বিতীয় তলার ব্ল্যাড ব্যাংক এবং নিচতলার মার্কেটটি চালু রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলমের একান্ত সচিব ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ ঘোষণা করে সংস্কারকাজ চলছে। ওই রুমে একজন কর্মচারী থাকতেন। ঘটনার পর তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তবে মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।