বায়ু দূষণে শীর্ষে থাকা দিল্লির কাছাকাছি ঢাকা নয়, দেশের আরেক শহর!
- ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও পাকিস্তানের করাচি–লাহোর প্রায় এক মাস ধরে বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহর হিসেবে অবস্থান করছে। কিছুদিন আগে নয়াদিল্লির দূষণ এত ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঘটানোর উদ্যোগ নেয় সেখানকার প্রশাসন।
আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালেও বিশ্বের ১২৭টি নগরীর মধ্যে নয়াদিল্লিই দূষণে শীর্ষে। তবে সেই দিল্লির দূষণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের খুলনা শহর। আজ খুলনার বায়ুর মান রাজধানী ঢাকার চেয়েও বেশি।
এদিন সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকার বায়ুর মান (একিউআই) ছিল ২৩১, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত। একই সময়ে দিল্লির একিউআই ২৮৪ এবং খুলনার একিউআই ২৭৭, যা দিল্লির মাত্রার খুব কাছাকাছি। এ তথ্য তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুদূষণ পরিমাপক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার, যারা বিশ্বজুড়ে নগরীর তাৎক্ষণিক বায়ুগুণমান প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: এনসিপির নেতৃত্বে হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক জোট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ আবদুস সালাম বলেন, স্থানীয় কিছু কারণেই খুলনায় দূষণের মাত্রা এত ভয়াবহ হতে পারে। খড়কুটো পোড়ানোসহ জৈব জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার, ধুলাবালু উড়তে থাকা এবং অনুকূল আবহাওয়াগত পরিস্থিতি এ দূষণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তিনি বলেন, বায়ুদূষণ এখন পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে গেছে, যা প্রতিনিয়তই দেখা যাচ্ছে, কিন্তু আমরা সেদিকে নজর দিই না।
ঢাকার যেসব এলাকায় দূষণ বেশি
আজ ঢাকার সাতটি স্থানে বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। এগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং (২৫৬), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৪), বে’জ এজ ওয়াটার (২৩৪), কল্যাণপুর (২২৯), বেচারাম দেউড়ি (২২৬), গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২১৩) ও গোড়ান (২০২)। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্বের দূষিত নগরীর তালিকায় শীর্ষে থাকছে।
নগরবাসীর জন্য সতর্কতা
বায়ুদূষণ সব মানুষের জন্য সমান ক্ষতিকর। ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা পিএম ২.৫, যার মূল উৎস ধুলাবালু, যানবাহন ও কারখানার ধোঁয়া, বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া ইত্যাদি। এসব কণা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আইকিউএয়ার নগরবাসীর জন্য বেশ কিছু সতর্কতা জানিয়েছে— বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরা, খোলা জায়গায় ব্যায়াম কমানো এবং ঘরের জানালা যতটা সম্ভব বন্ধ রাখা।