কর্মচারী নেতার বক্তব্য
‘পে কমিশনের সুপারিশ জমা দিতে ৩-৪ মাসই যথেষ্ট’
- টিডিসি রিপোর্ট
- ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:১০
পে কমিশনের সুপারিশ জমা দিতে তিন থেকে চার মাসই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আবদুল মালেক। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ছয়মাস কেন লাগবে? ৩-৪ মাসেই সুপারিশ প্রণয়ন সম্ভব। এ ছয় মাস সময় দেয়াটাও একটা সময় ক্ষেপণের পন্থা কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।
আশা দেখিয়েও পে স্কেল কেন দেবেন না, এমন প্রশ্ন করে আবদুল মালেক বলেন, ‘১৫ শতাংশ ভাতা যখন দিলেন, তাহলে ওই সময় কেন কমিশন গঠন করা হলো। তাড়াহুড়ো করে আশা দেখিয়ে এখন কেন আমাদেরকে আরেক সরকারের কাছে ছেড়ে দিচ্ছেন?’
এদিকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। কর্মচারী এ নেতা বলেন, কর্মচারীরা নতুন পে স্কেলের জন্য অপেক্ষা করছে। কমিশন ইচ্ছে করলেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশ জমা করতে পারবেন। অন্ততপক্ষে সারসংক্ষেপ হলেও বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে জমা দেওয়া উচিত। অন্যথায় কর্মচারীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, কর্মচারীরা এখন একজোট হয়েছেন। তারা সবসময় যেকোনো ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা কমিশনকে সময় দিচ্ছি, অবশ্যই এই সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এ নেতা বলেন, বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে এমন কর্মসূচি দেয়া হবে কমিশন তখন এক বছরের কাজ এক সপ্তাহে করতে বাধ্য হবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।