হোমওয়ার্ক না করায় শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন শিক্ষকের

শিশুকে নির্যাতন করা ওই শিক্ষিকা
শিশুকে নির্যাতন করা ওই শিক্ষিকা © ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতের ছত্তীসগড়ের সুরজপুর জেলার নারায়ণপুর গ্রামের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে হোমওয়ার্ক সম্পূর্ণ না করায় চার বছর বয়সী এক ছাত্রকে গাছে ঝুলিয়ে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) হ্যান্স বাহিনি বিদ্যা মন্দির স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযোগ অনুযায়ী, ওই দিন স্বাভাবিক দিনের মতো ক্লাস চলার সময় নার্সারি শ্রেণির শিক্ষিকা কাজল সাহু হোমওয়ার্ক পরীক্ষা করতে গিয়ে শিশুটির কাজ অসম্পূর্ণ পান এরপর তিনি রাগের মাথায় শিশুটির কাপড় খুলে দড়ি দিয়ে বেঁধে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণের একটি গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষিকা অনুরাধা দেওয়াঙ্গনকেও এ ঘটনায় দায়ী করা হয়েছে।

নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটি গাছের ডালে ঝুলে অসহায়ভাবে কাঁদছে এবং বারবার নামিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে, কিন্তু শিক্ষকরা তার আর্তনাদ উপেক্ষা করছেন।

শিশুটির পরিবারের সদস্য সন্তোষ কুমার সাহু বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে চরম অবহেলা ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগ এনে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ব্লক শিক্ষা কর্মকর্তা ডি. এস. লাকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অজয় মিশ্র জানান, ঘটনাটির রিপোর্ট ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ক্লাস্টার ইনচার্জ মনোজ যাদব বিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষকদের আচরণকে সম্পূর্ণভাবে ভুল বলে মন্তব্য করেন।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে গুরুতর ভুল বলে স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত এক শিক্ষিকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘হ্যাঁ, ভুল হয়েছে… ইচ্ছাকৃত নয়।’

শিশুটি বর্তমানে নিরাপদে থাকলেও ঘটনাটি পুরো রাজ্যজুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অভিভাবকরা ও অধিকারকর্মীরা শুধু শিক্ষিকাদের নয়, বরং বিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন।

সূত্র: এনডিটিভি