ভূমিকম্প

রাজধানীতে ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫ ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন চিহ্নিত 

ভূমিকম্পে ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত 
ভূমিকম্পে ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত  © সংগৃহীত

রাজধানীতে পরপর কয়েক দফায় ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ৩০০টি ছোট-বড় ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ভবনকে 'অতি ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রাজউকের আয়োজনে ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি।

রাজউক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পে ৩০০টির মতো ছোট বড় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে পেরেছি। নিয়মবহির্ভূত এবং নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণে রাজউক ও ভবন মালিক উভয়েরই দায় আছে। তবে মূল দায়ী ভবন মালিক।

রাজউক কাউকে প্ল্যান করে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজউকে অর্থের বিনিময়ে কোনো কাজ হয় না।
বাড়িওয়ালারাই ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট দিয়ে বাড়ির প্ল্যান করে রাজউকে জমা দেয় এই শর্তে যে, রাজউকের নিয়ম মোতাবেক করবেন। পরে তারা সেটা না মানলে জরিমানা কিংবা শাস্তি দিতে হলে সেই বাড়িওয়ালাদেরই দেওয়া উচিত। এর দায়ভার রাজউকের না।

তিনি আরও বলেন, ৫০টি ভবন ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। সেগুলোর কোনটি মেরামত করা সম্ভব, তা নির্ধারণে পরিদর্শন চলছে। আমরা স্কুল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করছি।

এর আগে, ঢাকায় সরকারিভাবে নির্মিত ৩৭ শতাংশ নতুন ভবনকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি হাসপাতাল) নতুন ১৭-তলা একটি ভবন ও অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ৪২টি স্থাপনাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘোষণা করে সেগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল রাজউক।

এর মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদ্রাসা বোর্ডের তিনটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্মাণ করা ৩০টি ভবন ছিল। কিন্তু এর কোনোটিই এখনো ভাঙা হয়নি।