শ্রম আইন সংশোধন করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা © টিডিসি সম্পাদিত।

তৈরি পোশাক, ট্যানারি, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরিকাঠামো পাঁচ বছর পরপর নির্ধারণ হতো। সম্প্রতি মজুরিকাঠামো তিন বছর অন্তর পুনর্নির্ধারণ করার বিধান রেখে শ্রম আইনে সংশোধন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম মান উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। এই সংশোধন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক ও ব্যবসার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচিত সংসদ দ্রুতই এই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করবে।
 
সংশোধিত এই আইনে, শ্রমিকের সংজ্ঞা স্পষ্ট করার পাশাপাশি মহিলা শব্দের পরিবর্তে নারী শব্দ প্রতিস্থাপন, ২০ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান, প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন শ্রমিক থাকলে ভবিষ্য তহবিল বাধ্যতামূলক, মাতৃত্বকালীন ছুটি ১১২ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন, বার্ষিক উৎসব ছুটি ১১ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৩ দিন করাসহ বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জাতীয় ও খাতভিত্তিক ত্রিপক্ষীয় পরিষদ গঠন, জাতীয় সামাজিক সংলাপ ফোরাম ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ ছাড়া কোন কোন আচরণ যৌন হয়রানি হিসেবে গণ্য করা হবে সেগুলোও আইনে সুস্পষ্ট করা হয়েছে। শ্রমিকের প্রতি বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ধর্ম, রাজনৈতিক মতামত, জাতীয়তা, সামাজিক অবস্থান, বংশ বা প্রতিবন্ধিতার কারণে কোনো ব্যক্তিকে আলাদা করা, বাদ দেওয়া বা কম গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টি যুক্ত রয়েছে আইনে।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই আইন সংশোধনের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। পরে গেল সোমবার রাতে শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার।