জাল সনদে চাকরি, প্রধান শিক্ষকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

রনি আক্তার
রনি আক্তার © সংগৃহীত ছবি

জাল সনদ ব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগে ঝিনাইদহের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন–সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রনি আক্তারকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মোক্তার হোসেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রনি আক্তার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুটিয়া গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে।

২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার রনি আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে রনি আক্তার নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিদ্যালয়ের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর তিনি সরকারি বেতন–ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে ওই সনদগুলো জাল প্রমাণ করে এবং তার বেতন–ভাতা বাতিল করা হয়।

এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় আদালত তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।