শেখ হাসিনার রায়কে স্বাগত জানিয়ে জাবি শিবিরের প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম মিছিল
- ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যার নির্দেশ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিবদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর প্রকাশ্যে আসার পর সংগঠনটি দলীয় ব্যানারে এটিই প্রথম মিছিল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়ক থেকে মিছিলটি শুরু করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শাখা শিবিরের সেক্রেটারির মোস্তাফিজুর রহমান ও অফিস সম্পাদক ও জাকসুর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। এছাড়াও সংগঠনটির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাকসুর নির্বাচিত এজিএস ফেরদৌস আল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তারা বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, আজকে খুনী শেখ হাসিনার রায়কে প্রত্যাখ্যান করে এক হাজার শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে।আমরা দেখেছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকের নামও সেখানে রয়েছে। নাম আসা শিক্ষকরা আজ রাতের মধ্যে এ বিবৃতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার না করলে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবো।
শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক ও জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার ডিকশনারীতে দেশপ্রেম বলে কোনো শব্দ ছিল না। ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সে এদেশের ইসলামপন্থী ও বিরোধী মতকে অন্যায়ভাবে দমন করেছে নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। ছাত্রজনতা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আজ আদালত যে রায় দিয়েছে তা পূর্ণতা লাভ করবে কেবল খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে এনে কার্যকরের মধ্য দিয়ে।
জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজকে খুনি হাসিনার রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে যারা ভাই হারিয়েছেন, বোন হারিয়েছেন, বাবা হারিয়েছেন, স্বামী হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় বাংলাদেশের জনগনের প্রাথমিক বিজয়। চূড়ান্ত বিজয় হবে সেদিন যেদিন খুনি হাসিনাকে দেশে এনে এই রায় কার্যকর করা হবে।
এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়েছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে অবশ্যই সেটা খুনি হাসিনাকে হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়া তিনি জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিচার ও দ্রুত শাস্তির দাবি করে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বিচার নিয়ে টালবাহানা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িত শিক্ষকের বিচার করা না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে জুলাইয়ের রক্তের উপর দিয়ে আসা এই প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।