ভারত ম্যাচে অনেক হলুদ কার্ড-গালাগালি হবে: জামাল ভূইয়া

জামাল ভূঁইয়া
জামাল ভূঁইয়া © সংগৃহীত

এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার আশা শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশ ও ভারতের। তবু দুই দলের মধ্যকার আসন্ন ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা ও আগ্রহ একটুও কমেনি। লাল-সবুজদের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কথাতেও ফুটে উঠল সেই প্রতীক্ষা।

মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বাছাইপর্বের বহু প্রতীক্ষিত ম্যাচটি। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় মাঠে নামবে দুই দল। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল। গত মার্চে শিলংয়ে তাদের আগের সাক্ষাতে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ ও ভারত।

বাংলাদেশের দলনেতা বললেন, 'এটা অনেক আবেগময় ম্যাচ, হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্যই নয়, সমর্থক ও আপনাদের সবার জন্যও ইতিবাচক হবে। তাই আমার জন্য ম্যাচটি আবেগের। একই সঙ্গে আমাকে মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে।'

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিকসহ নানা কারণে বাংলাদেশ–ভারত যে কোনো খেলায় মুখোমুখি হলে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয় বাড়তি উত্তেজনা ও আলোচনা। অবশ্য জামাল মনে করছেন, ম্যাচেও খেলোয়াড়দের মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব থাকবে।

তার ভাষ্যমতে, 'কালকের ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে, গালাগালি হবে। আমি যদিও এটাকে স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই ধরব। তবে এই ম্যাচের তাৎপর্য আমি জানি।'

তিনি আরও বলেন, 'চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। সকালে আমি যখন আমি নাস্তা করতে যাই, লিফটের ভেতরে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচকে পেলাম। তো উনি আমাকে একই প্রশ্ন করেন। আমি বলেছি, চাপ সব সময় থাকে। তবে এটা সামলানোই আমার কাজ। পরে তিনি জানান, তিনিও ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে থাকবেন। তাই ক্রিকেটের দিকটা যদি দেখেন, তারাও রোমাঞ্চিত।'

সংবাদ সম্মেলনে বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা হামজা চৌধুরীর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।

জামালের মতে, 'হামজা বিদেশ থেকে এসেছে আমার মতো। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। হামজার যখনই কোনো সমস্যা হয়, আমাকে টেক্সট করে বা কল করে। ফুটবল নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমি হামজাকে জানাই।'

৩৫ বছর বয়সী তারকা বলেন, 'আমি সৌভাগ্যবান যে হামজাকে অ্যাসিস্ট করতে পেরেছি। একটা কর্নার থেকে হেড, আরেকটা বাইসাইকেল কিক। বাইসাইকেল কিকে গোলটা আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। হামজার গোলের র‍্যাংকিং করলে এটা অবশ্যই এক নম্বরে থাকবে।