২ ডিসেম্বর থেকে খুলনা-বরিশাল বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ঘোষণা

আন্তজেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতাদের সংবাদ সম্মেলন
আন্তজেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতাদের সংবাদ সম্মেলন © টিডিসি

খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাত জেলার ১০টি আন্তজেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি। সরকারি অনুমতি ছাড়া বিআরটিসি বাস এবং ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমনসহ থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে রূপসা-বাগেরহাট বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিন দফা দাবি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। দাবি না মানায় ২ ডিসেম্বর থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে বলে জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, দক্ষিণাঞ্চলের মালিক-শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। সরকারি অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন বিআরটিসি নামধারী বাস সড়কে চলাচল করছে। নিলামকৃত পুরোনো গাড়িও সামান্য মেরামত করে বিআরটিসির নামে রাস্তায় নামানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অনিয়ম। প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে এসব গাড়ি চলাচলের ফলে অভ্যন্তরীণ রুটে মালিক–শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ ছাড়া অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমন-করিমন মহাসড়কে বেপরোয়া চলাচল করে পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মিনা, সহসভাপতি জিয়াউদ্দিন জিয়াম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, অর্থ সম্পাদক মতিউর রহমান, লাইন সম্পাদক সরদার জসীমসহ বিভিন্ন জেলার মালিক সমিতির নেতারা।

মালিক সমিতির তিন দফা দাবি হলো অনুমোদন ছাড়া চলাচলরত বিআরটিসি ও লিজকৃত বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ। বিআরটিসির অবৈধ কাউন্টার অপসারণ এবং নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয় মালিক সমিতির মাধ্যমে শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরিচালনা। ইজিবাইক, মাহেন্দ্রসহ থ্রি-হুইলারকে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করে পার্শ্ববর্তী সড়কে সীমাবদ্ধ রাখা।

মালিক সমিতির নেতারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।