শাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
- ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২২:৪৯
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় উপাচার্যের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা একাধিকবার সব পক্ষের সঙ্গে বসে এমন একটি তারিখ ঠিক করতে চেয়েছি, যাতে সফলভাবে নির্বাচন আয়োজন করা যায়। পারিপার্শ্বিক সব দিক বিবেচনা করে আমরা দেখেছি, এর চেয়ে উপযুক্ত তারিখ আর হতে পারে না। তাই সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর একটি উপযুক্ত দিন। সে অনুযায়ী আগামী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন আয়োজনে সবার সহযোগিতা চাই। আমরা চাই নির্বাচনটি জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হোক। শিক্ষার্থীরা যেন সবাই এতে অংশগ্রহণ করে এটাই আমাদের আশা।
আরও পড়ুন: ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক ঢাবি অধ্যাপক
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় শাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল উপাচার্যের। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত করে প্রশাসন। নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্যের ডাকা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাত ৮টা থেকে তারা প্রশাসনিক ভবন–১ এর সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ভবনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে রাত ১০টার দিকে মিছিলসহ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি চালান শিক্ষার্থীরা।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে শিক্ষার্থীরা এই আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের দাবি ছিল, রাতেই নির্বাচনসংক্রান্ত তফসিল ঘোষণা করতে হবে, নইলে আন্দোলন সারারাত চলবে।
অবশেষে রাত ১টার দিকে উপাচার্য নিজে ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে তিনি জানান, শুক্রবারই শাকসু নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ সময় উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর এবং রেজিস্ট্রার উপস্থিত থাকলেও নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্য সেখানে ছিলেন না।