বাসে অগ্নিসংযোগকালে জনতার ধাওয়া খেয়ে নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
- ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪২
আওয়ামী লীগের ডাকা ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির সময় বাসে আগুন দিতে গিলে ধাওয়া দেয় সাধারণ জনগণ। পরে নিজেকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক, এতে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্ট্রার। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর তুরাগ নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ডিএমপি জানায়, লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করতে গেলে উপস্থিত জনতা দেয়। এ সময় একজন নিজেকে বাঁচাতে ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং তুরাগ নদীতে ডুবে মারা যায়। এ সময় অন্যজন পালিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।
ডিএমপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর শাহআলী থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে শাহআলী থানাধীন উত্তর নবাবেরবাগ সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা বাসে কয়েকজন যুবক প্লাস্টিকের বোতলে করে কেরোসিন ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিল।
বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসলে তারা দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে, একজনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তাদের একজন প্রাণভয়ে নিকটবর্তী তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং অন্য একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সাঁতার না জানায় নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ওই দুষ্কৃতকারী পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন আটককৃতকে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত যুবকের নাম সাইয়াফ (১৮) এবং গ্রেপ্তাকৃতের নাম রুদ্র মোহাম্মদ নাহিয়ান আমির সানি (১৮)।
আরেক পলাতককে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেপ্তাকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় ডিএমপি।