ইসলামিক সলিডেটারি গেমসে টেবিল টেনিসে রৌপ্য জয় বাংলাদেশের
- ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৪
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ ইসলামিক সলিডেরাটি গেমসের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে বাংলাদেশে মোঃ জাভেদ আহমেদ-খই খই সাই মারমা জুটি তুরস্কের সাথে ৫-১১, ৮-১১, ৬-১১ পয়েন্টে ০-৩ গেমের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে রৌপ্য পদক অর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় তুরস্কের হয়ে অংশগ্রহণ করেন মহিলাদের ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ৮০তম স্বর্ণ বিজয়ী খেলোয়াড় সিবেল আলতিনকায়া এবং পুরুষদের ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ২৬২তম খেলোয়াড় ইব্রাহিম গুনডুজ। বিপরীতে বাংলাদেশের মিশ্র জুটির কারো আন্তর্জাতিক রেটিং নেই।
জানা গেছে, এবার ইসলামিক সলিডেরাটি গেমসে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১০টি ডিসিপ্লিন থেকে ৩৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় টেবিল টেনিস থেকে ১টি রৌপ্য এবং ভারত্তোলন থেকে ৩টি ব্রোঞ্জ মেডেল জয়লাভ করে বাংলাদেশ।
বিশ্বে টেবিল টেনিসের প্রচলন প্রায় ১০০ বছর ধরে হলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন ৫০ বছরের কাছাকাছি। গত ৫ দশকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে টেবিল টেনিসে দেশের উল্লেখযোগ্য কোন প্রাপ্তি নেই। যতটুকু প্রাপ্তি তা ছিল শুধু দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে। তার সিংহভাগই জুনিয়রদের।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশের জাভেদ - খই খই জুটি সেমি-ফাইনালে বাহরাইনের রাশেদ এবং কেন্দা মোহাম্মদকে ১৩-১১, ৭-১১, ১২-১০, ১১-৩ পয়েন্টে ৩-১ গেমে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশর এই মিশ্র জুটি রাউন্ড অব ১৬ এর খেলাতে গায়নাকে ১৩-১১, ৭-১১, ১২-১০, ১১-৩ পয়েন্টের ব্যবধানে ৩-২ গেমের ব্যবাধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে। গত বুধবার মালদ্বীপকে কোয়ার্টারে মালদ্বীপকে সরাসরি ৩-০ গেমে পরাজিত করে পদক প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছিল।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন মাকসুদ আহমেদ সনেট জানান, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সে আমরা অত্যন্ত খুশী। কোনো ধরনের জিমনেসিয়াম সুবিধা ছাড়া, নন-এসি বদ্ধ অডিটরিয়ামে সীমিত সুযোগ সুবিধার ভেতরে আমাদের ছেলে- মেয়েরা তাদের সর্বোচ্চ উজাড় করে খেলেছে। রৌপ্য বিজয়ী খেলোয়াড়দের ইতিমধে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা নগদ পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্যাপ্টেন মাকসুদ আরো বলেন, নতুন অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে একমি কাপ, প্রেসিডেন্ট কাপ, ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টের মতো ৩টি বড় টুর্নামেন্ট, পাঁচ মাসের এস এ গেমসের ক্যাপ, নেপালে সাউথ এশিয়ান জুনিয়র এবং সিনিয়রদের টুর্নামেন্ট, ভারতের ভুবনেশ্বরে এশিয়ান টিমস টুর্নামেন্ট, বাহরাইনে যুব গমসে অংশগ্রহণ প্রভৃতি নিরবিচ্ছিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের মান কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারবাহিকতা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই শক্তিশালী অবস্থানে পৌছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।