৪৭তম বিসিএসের পরীক্ষা কি পেছাচ্ছে?

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন © ফাইল ছবি

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। তবে আপাতত এ বিসিএসের পরীক্ষা পেছানোর চিন্তা নেই পিএসসির।

মঙ্গলবার পিএসসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রতিটি বিসিএসের জন্য একটি করে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী পরীক্ষা না নিলে বিসিএসের জট কাটবে না। সেজন্য আমরা এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা যথাসময়ে নিতে চাই। লিখিত পরীক্ষা পেছানো হলে মৌখিক পরীক্ষা, চূড়ান্ত সুপারিশ সবকিছুই পিছিয়ে যাবে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন তাদের প্রস্তুতি নিতে সময় প্রয়োজন। যারা বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশ পান, তারা অনেক আগে থেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করেন। যাদের প্রস্তুতি নেই, তাদের দুইমাস কেন, এক বছর সময় দিলেও তারা লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন না। কাজেই আমরা আগামী ২৭ নভেম্বর পরীক্ষা নিতে চাই। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কোনো সুপারিশ আসলে তখন কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। আপাতত পরীক্ষা পেছানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’

এদিকে ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময় অন্তত দুই মাস বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দাবি মানতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। গত রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে দেওয়া এ আল্টিমেটাম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে চাকরিপ্রার্থীরা নতুন করে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেননি।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এর আগে কোনো বিসিএস পরীক্ষার লিখিত অংশ এত দ্রুত অনুষ্ঠিত হয়নি। আমাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন। এটি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি।’

চাকরিপ্রার্থীদের ভাষ্য, পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোতে লিখিত পরীক্ষার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও এবার তা মাত্র ৪০ দিন। তাঁদের মতে, এতে মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ব্যাহত হতে পারে।