পাঁচ দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে গণসমাবেশ করছে জামায়াতসহ আট দল
- ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণসমাবেশ করছে। দলগুলো জানিয়েছে, এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা আশা করছে, আজকের সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি ঘটবে।
সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার (১০ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পল্টন কার্যালয়ে আট দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে, লোকে লোকারণ্য হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজধানী ও আশপাশের মানুষ এতে অংশ নেবে। আমরা চাইলে দেশব্যাপী সমাবেশ করতে পারতাম, তবে শুধু এ অঞ্চল থেকেই সমাবেশ করব। যদি সরকার এই জমায়েত দেখে বুঝতে পারে, তাহলে এখান থেকেই একটা বড় মতামত উঠে আসতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন ও অধ্যাপক আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানি, মাওলানা তৌহিদুজ্জামান, অধ্যক্ষ মো. রোকনুজ্জামান রোকন, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি ও কাজী আনোয়ারুল করিম।
নিজেদের কর্মসূচি প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমাদের আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব শেষ হয়েছে, এখন পঞ্চম পর্ব চলছে। গত ৬ নভেম্বর আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে আজ (১১ নভেম্বর) গণসমাবেশের ঘোষণা ছিল। আমরা জনগণের কিছু মৌলিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। এটা কোনো জোট নয়, একটি আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জনদুর্ভোগ সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। সমাবেশ ঘিরে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মসূচির সময় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।”
বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা বলেন, “তারা বলেছেন জামায়াতের ডাকে সাড়া দেবেন না—এটি তারা প্রকাশ্যে বলেছে। আমরাও প্রকাশ্যে বলছি, তারা আমাদের ডাকলে আমরা অবশ্যই সাড়া দেব। আলোচনা ও আন্দোলন—উভয় কৌশল আমরা চালিয়ে যাব।”
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আলোচনা ভেস্তে যায়নি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সনদ তৈরি হয়েছে এবং তাতে স্বাক্ষরও হয়েছে। মূল সমস্যা সনদ নিয়ে নয়, বরং তার বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”
গণভোট বিষয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “গণভোট আগে সংবিধানে ছিল, ফ্যাসিস্টরা তা বাদ দিয়েছে। যারা এখন বলেন সংবিধানে গণভোট নেই, তারা মূলত ফ্যাসিস্টদের কাজকে সমর্থন করছেন। সংবিধানে পাঁচ বছর পর নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। তাহলে কি সংবিধান অনুযায়ী ২০২৬ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতায় আসেনি।”