এখনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেককে দেখাচ্ছে সরকারি ওয়েবসাইট
- ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন জাহিদ মালেক। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাকে। আওয়ামী লীগের এই নেতা পরবর্তীতে বিতর্কিত ১৪, ১৯ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও জিতেছেন । ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি, তিনি একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন।
২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের পরে মন্ত্রিত্ব হারান। নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন পান ডা. সামন্ত লাল সেন। তবে ওই বছরে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর থেকেই পলাতক রয়েছেন জাহিদ মালেকসহ তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থান পরবর্তীতে দায়িত্ব নেয় ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পান নুরজাহান বেগম। তবে, অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেবার প্রায় দেড় বছর পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এখনও জাহিদ মালেককে দেখা যাচ্ছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার হলো ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের বিভিন্ন রোগনির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়
রবিবার (৯ নভেম্বর) এই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে (https://nilmrc.portal.gov.bd) ঢুকে দেখা যায়, এখনও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেকের নাম রয়েছে।
শুধু জাহিদ মালেক নয়, প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব সাইটে স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে এখনও দেখা যাচ্ছে ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। তারা সবাই এখন সাবেক।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের কভার ছবিতে আছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সরকারি দপ্তরগুলোর উদাসীনতা, দ্রুত পদক্ষেপ না থাকাকে দায়ী করেছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তীকে সময়েও সরকারের একটি ওয়েবসাইটে স্বৈরাচারের দোসরকে প্রতিনিধিত্ব রাখা সত্যিই দুঃখজনক। জড়িতদের দ্রুতই শাস্তির আওতায় আনা উচিত। একই সাথে এই ঘটনা প্রমাণ করে সরকারি দপ্তরে যারা কাজ করেন তারা কতটা ব্যাপক মাত্রায় অযোগ্য, কাজের প্রতি উদাসীন।