মানিকগঞ্জে ধরা পড়া কুমিরটির ঠাঁই হলো গাজীপুর সাফারি পার্কে

ধরা পরা কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট
ধরা পরা কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট © সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীর শাখা থেকে ধরা পড়া রহস্যময় কুমিরটিকে বন অধিদপ্তরের ক্রাইম ও অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমিরটি হস্তান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।

এর আগে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক ফাঁদ পেতে কুমিরটিকে জীবিত অবস্থায় আটক করেন। নদীপাড়ের মানুষ আতঙ্কিত থাকলেও কৌতূহলী জনতা তখন ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।

বন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, গত এক মাস ধরে হরিরামপুরের ধুলসুরা, হারুকান্দি ও সদর উপজেলার হাটিপাড়া এলাকার নদীতে কুমিরটি বিচরণ করছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেটি অবশেষে আটক করা সম্ভব হয়েছে। পরে সেটি বন অধিদপ্তরের বিশেষ ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস ধরে চরবংখুড়ি, বোয়ালী, আইলকুন্ডি, খামারহাটি ও তন্ত্রখোলা এলাকায় কুমিরটির উপস্থিতি গ্রামবাসীর মধ্যে ভয় এবং আলোচনার জন্ম দেয়। কেউ কেউ নদীতে মাছ ধরা ও গোসল বন্ধ করে দেন।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ দপ্তরের কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ধরা পড়া কুমিরটি বর্তমানে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীপ্রেমীরা বলছেন, মানুষের বসবাসের কাছাকাছি এভাবে কুমিরের দেখা পাওয়া পরিবেশগত ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।