বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাবিতে দোয়া ও আলোচনাসভা

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভা
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভা © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) জাতীয়বাদী শিক্ষক ফোরামের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) আসর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদে এই দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

দোয়া ও আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শামছুল আলম বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান কোন একক কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করেননি। তিনি পুরো জাতির জন্য কাজ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সাধারণ মানুষের যে আকাঙ্খা ছিল তার প্রতিফলন করাই ছিল জিয়াউর রহমানের কাজ। তিনি যেই কাজ করেছেন তার ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে এবং আমরা আজকে তাঁর জন্য দোয়া করবো।’

দোয়ার আয়োজনে উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিএনপির জন্মদিনের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং এটি ‘সৈনিক-জনতা বিপ্লব’-এর প্রতীক। স্বাধীনতার পর দেশে যে অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে মুক্তির প্রত্যাশাই ছিল এই বিপ্লবের মূল কারণ। স্বাধীনতা ঘোষণার পর জিয়াউর রহমান নীরবে তার দায়িত্ব পালন করেন, তিনি কখনও ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেননি। কিন্তু যখন দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা ধ্বংস হতে থাকে, তখন জনগণ ও সৈনিকদের চাপে তাকে পুনরায় নেতৃত্বে আনা হয়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তিনি দেশের স্বার্থে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমান দেশের অভ্যন্তরীণ বৈষম্য ও অনাচার দূর করতে সবাইকে একত্রিত করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ঐক্যেই উন্নয়নের পথ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ভিত্তি প্রদান করেন, যা এক অর্থে আমাদের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এনে দেয়। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আন্তরিক, ভিত্তিমূলক ও জনদরদী নেতা, যিনি সবাইকে ভালোবাসতেন এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পছন্দ করতেন।’