পরিবেশবান্ধব প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে সিকৃবিতে গবেষণা কার্যক্রম শুরু
- ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৩
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ব্যাবস্থা গ্রহণে আন্তর্জাতিক গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের উপর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এবং প্রাণীর অন্ত্রীয় মিথেন নির্গমন হ্রাস নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদ ভবন-২ এর কনফারেন্স হলে এই গবেষণা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। গবেষণা প্রকল্পটি ‘Reducing AMR & Enteric Methane Emissions from Livestock & Aquaculture in Asia & the Pacific’ শিরোনামে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সল্যুশন (আইকারস), আইডিআরসি-সিআরডিআই ও সিডিং ল্যাবসের যৌথ সহায়তায় পরিচালিত হবে।
ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. আনজুমান আরার সভাপতিত্বে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফেরদৌস মো. আলতাফ হোসেন। তিনি প্রকল্পটির গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল লাল সামুদ্রিক শৈবাল এসপারাগোপসিস ও প্রোপায়োনিব্যাকটেরিয়ামের ব্যবহারের মাধ্যমে রুমেন মাইক্রোবায়োম উন্নত করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) ও অন্ত্রের মিথেন নির্গমন হ্রাস করা। এ উদ্যোগ প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ব্যবস্থা গঠনে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি ওয়ান হেলথ নীতির আওতায় পরিচালিত হবে যেখানে প্রাণী, মানুষ ও পরিবেশ এই তিনটি খাতের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা একসাথে বিবেচনা করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালককে অভিবাদন জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পৃথিবীতে মিথেন নির্গমন এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স দুটি বড় ইস্যু। রেড সী উইড ফাংগাস এবং প্রোপায়োনিব্যাকটেরিয়াম ব্যাকটেরিয়ার কম্বিনেশনে ফিড এডিটিভস হিসেবে প্রাণীর রুমেনে ব্যবহার করলে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমবে বলে আমি আশাবাদী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবেদ চৌধুরী। এছাড়াও বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শোয়েব, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এএসএম মাহবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।