নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের চোখে চীন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

‘বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের চোখে চীন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
‘বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের চোখে চীন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন © সৌজন্যে প্রাপ্ত

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ‘বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের চোখে চীন’ শীর্ষক বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ–চীন গবেষণা কেন্দ্রের সহ-আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর লি শাওপেং, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ, বইটির লেখকরা এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির দুই শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। বইটি মোট ১৯টি অধ্যায় নিয়ে রচিত, যেখানে ২২ জন লেখক চীন ও বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের সহযোগিতা, বন্ধুত্ব ও সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক মা শিয়াওইয়ান অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি বলেন, ‘এই বইটি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য চীনকে গভীরভাবে জানার একটি নতুন জানালা খুলে দেবে। এটি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে একটি সাংস্কৃতিক উৎসর্গ।’ এরপর স্থানীয় পরিচালক প্রফেসর বুলবুল সিদ্দিকী বইটির লেখন-প্রক্রিয়া তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এই বইয়ে চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস, শিক্ষা ও উন্নয়ন সহযোগিতার নানা অধ্যায় স্থান পেয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।’

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ অতীতের ইতিহাস স্মরণ করে বর্তমান সময়ের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি আহ্বান জানান, বাংলাদেশের লেখক ও গবেষকদের আরও বেশি করে চীন ও তার উন্নয়ন নিয়ে লেখার, যাতে বাংলাদেশের পাঠক সমাজ চীনকে আরও ভালোভাবে জানতে পারে।

চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর লি শাওপেং বলেন, ‘চীনকে বুঝতে চাইলে এই বইটি অবশ্যপাঠ্য। এটি বাংলাদেশ–চীন সহযোগিতার জন্য এক মূল্যবান দিকনির্দেশনা। আমি আশা করি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম আরও বেশি চীনা ভাষা শিখবে, চীনা সংস্কৃতি অন্বেষণ করবে, চীন ভ্রমণ করবে, বন্ধুত্ব গড়ে তুলবে এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে ডিজিটাল ও গ্রিন সিল্ক রোডের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী বইটির প্রশংসা করে বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সবসময়ই দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও শিক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং বাংলাদেশ–চীন গবেষণা কেন্দ্র ও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটকে দৃঢ়ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।’

লেখকদের পক্ষ থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. শাহাবুল হক এবং সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ফেরদৌসী তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শেষে অতিথিরা একসঙ্গে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। লাল পর্দা ধীরে নামল, আর করতালির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো ‘বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের চোখে চীন’ গ্রন্থের যাত্রা — যা বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন এক সেতুবন্ধনের প্রতীক হয়ে রইল।