সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন ওয়েবসাইট চালু

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ © সংগৃহীত

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন শিল্পের বিকাশে এবার টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু করা হয়েছে একটি ওয়েবসাইট। mysaintmartinbd.com নামের চালু হওয়া সাইটটিতে এখন সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সব তথ্য, সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

একই সঙ্গে এটিতে দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যারা নিজের ঘরকে পর্যটকের জন্য ভাড়া প্রদান করে এর নাম, ফোন নম্বর ও ভাড়া মূল্যের তথ্য যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টের তথ্যও।

তাছাড়া, সাইটটিতে ব্রাউজ করে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, হাসপাতাল, ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন নম্বরের পাশাপাশি দ্বীপে এলাকাভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের নিয়োগ করা বীচকর্মীর নাম ও ফোন নম্বর সংবলিত তথ্যাদির সম্ভারেরও দেখা মিলেছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত মতে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দ্বীপটি রাত্রি যাপন করার সুযোগ রয়েছে। পর্যটন ব্যতীত সারা বছর সেন্টমার্টিনে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, গবেষণাসহ বিভিন্ন কাজে যে সব মানুষ চলাচল করে তাদের দ্বীপের যাওয়ার অনুমতি নিয়ে নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কিন্তু এখন তা আর হবে না। এই ওয়েব সাইটে অনলাইন অনুমতি ব্যবস্থাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিএসটিআইতে অত্যাধুনিক সোলার প্যানেল টেস্টিং ল্যাবরেটরি উদ্বোধন

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করা যাবে না। বিগত বছরের ন্যায় ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে কক্সবাজার থেকে বিভিন্ন পর্যটকবাহী জাহাজ যাতায়াত করবে এবং রাত্রি যাপনের সুযোগ রয়েছে। দুই মাসের পর্যটনে স্থানীয় জনগনের আয় উপার্জন কমে যাওয়ায় সরকার জলবায়ু কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ব্র‍্যাক কর্তৃক যাচাই করা ৫০০ পরিবারকে ৫৭ লাখ টাকা বিকাশে প্রদান করা হয়েছে। এতে স্থানীয় জনগণ তাদের বাড়ি-ঘরের ভাড়া কমে যাওয়াসহ নানা অসুবিধার কথা বলেন। ফলে কমিউনিটি পর্যটনে  র ধারণা থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাইটটি তৈরি করেন তিনি।

ইউএনও বলেন, দুই মাসের সীমিত পর্যটনে বিলাসবহুল হোটেল রিসোর্টের চাকচিক্যে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে স্থানীয় মানুষের ছোট ছোট হোটেল ও বাসাগুলো। এই বিষয়টিকে মাথায় এনে সেন্টমার্টিনের জনগনকে সীমিত ট্যুরিজমের মাঝেও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন শতাধিক স্থানীয় মানুষের ঘর-বাড়ি ও ছোট হোটেল কে ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করেছে যার মাধ্যমে পর্যটকগন সরাসরি স্থানীয় মানুষের বাসা/গেস্টরুম বুক করতে পারবে। এতে কম খরচে স্থানীয় জনজীবন উপভোগ করা যাবে এবং সেই সাথে সেন্টমার্টিনবাসীর সাথে সরাসরি যোগাযোগের একটি মাধ্যম খুঁজে পাবেন পর্যটকরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা কমিউনিটি ট্যুরিজম এর ধারণা থেকে এর নাম দিয়েছি হোম স্টে।  আমরা সবাই এটি প্রচারের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনবাসীর জীবন জীবিকায় ভূমিকা রাখতে পারি। এছাড়া সারাবছর সেন্টমার্টিনে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, গবেষণাসহ বিভিন্ন কাজে মানুষ চলাচল করে (ট্যুরিজম ব্যতিত)। অনেক সময় এই এপ্রুভাল নিতে অনেক শ্রম ও সময়ের প্রয়োজন হয়। আমরা নিচের ওয়েবসাইটে অনলাইন এপ্রুভাল এর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। অনলাইনে যাত্রার কারণসহ সাবমিট করলে ২৪ ঘণ্টার মাঝে আপনি মোবাইল থেকেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এপ্রুভাল। তবে এই এপ্রুভাল পর্যটকদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, পর্যটককে অবশ্যই সরকারের প্রজ্ঞাপন মেনে সেন্টমার্টিন যেতে হবে। এই সঙ্গে এই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে সেন্টমার্টিন সম্পর্কিত সকল তথ্য, জাহাজের টিকেট লিংক, সকল দর্শনীয় স্থানের তালিকা, সময়সূচী, ভাড়া, গুরুত্বপূর্ণ নম্বর সমূহ, সরকারের নির্দেশনা ও এক সাইটে সকল হোটেল ও হোম স্টে এর দুই শতাধিক আবাসন সম্পর্কিত তথ্য।