আজ এক্সপোর্ট, কাল দেশেই ‘নিকোটিন পাউচ’ বিক্রি হবে না তার গ্যারান্টি কী?
- ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২২:১৬
(দেশে ‘নিকোটিন পাউচ’ উৎপাদনে বৈশ্বিক তামাক কোম্পানি ফিলিপ মরিসকে কারখানা স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। টি-ব্যাগের মতো ক্ষতিকর এ পণ্য কেবল বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য সামনে আসার পর প্রতিবাদ জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো। প্রতিবাদ করেছে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশও। মানববন্ধনের পাশাপাশি পণ্যটির ক্ষতিকর দিক নিয়ে সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্যাম্পাসে। সম্প্রতি নিকোটিন পাউচসহ তামাক পণ্যের ঝুঁকি, ভয়াবহতা ও সমাধান নিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নবাব আব্দুর রহিম।)
নিকোটিন পাউচের প্রবণতা ও ঝুঁকি কী?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: নিকোটিন পাউচ আমাদের দেশে খুবই নতুন ধারণা। ২০১৪ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর উৎপাদন শুরু হয়। ওই সময় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যটিকে তামাকের ব্যবহার কমাতে বিকল্প হিসেবে তুলে ধরে। যেহেতু এটি নিয়ে তেমন বিস্তর গবেষণা হয়নি, তারা বলতে চাইলেন এটি তামাকের তুলনায় কম ক্ষতিকর। কারণ এতে সরাসরি তামাক ব্যবহার করা হয় না।
কিন্তু টি-ব্যাগের মতো দেখতে পাউচটিতে থাকে নিকোটিন, সঙ্গে কিছু কেমিক্যাল এবং ফ্লেভার। এটি মুখের মধ্যে রাখা হয়, আমাদের দেশে যেমন গুলের ব্যবহার রয়েছে; এতে নিকোটিন ধীরে ধীরে রিলিজ হয়। এর কাজ কী? প্রথম দিকে তারা বলতে চাইলেন, আমরা তামাক আসক্তদের যদি এই কম ক্ষতিকর বিকল্পটি দিতে পারি, তাহলে তারা তামাক ছেড়ে দিয়ে এর দিকে আসবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, নিকোটিন পাউচ নিজেই নেশাজাতীয় দ্রব্য। একবার ব্যবহার শুরু করলে এর প্রতি আসক্তি তৈরি হয়, ছাড়া যায় না।
সাময়িক উত্তেজনা বা প্রশান্তি পাওয়ার জন্য তামাক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার শুরু হয়। তারা একটু হতাশ হলে মনে করে এটা তার জন্য ভালো হবে। কিন্তু একবার শুরু হলে এই ‘মরণ ফাঁদ’ থেকে আর ফিরে আসতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ডোজ বাড়াতে হয়। কেননা, নিকোটিন প্রায় ১০ সেকেন্ডের মধ্যে অর্থাৎ খুব দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁ অস্থায়ীভাবে ভালো অনুভূতি তৈরি করে উদ্বেগ হ্রাস করে, তবে ১০–১৫ মিনিটের মধ্যেই এর প্রভাব চলে যায়। ফলে কিছু দিন পর ক্রমাগতভাবে এর ব্যবহার শুরু হয়। ব্যবহারকারীরা ক্রমে বেশি ডোজ এবং বেশি ফ্রিকোয়েন্সিতে এটি নিতে শুরু করে।
নিকোটিন পাউচের শারীরিক-মানসিক ক্ষতি কী কী হতে পারে?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: নিকোটিন পাউচ আমাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। বিশেষ করে এটি যুবক এবং শিশুদের বিকাশশীল মস্তিষ্কের জন্য, গর্ভবতী মহিলা এবং গর্ভের শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রথম ক্ষতি হচ্ছে, যেকোনো পদার্থ, যা আমার শরীরের দরকার নাই, তা যদি ইন্ট্রোডিউস করি, ভালো ফল বয়ে আনে না। তা আপাতদৃষ্টিতে যতই ভালো মনে হোক না কেন? এমনকি মেডিসিন হিসেবেও যখন নিকোটিন ব্যবহার করা হয়, তারও একটা মাত্রা থাকে। ফলে নিকোটিন পাউচ যদি সহজলভ্য হয়ে যায়, তাহলে এর প্রতি আসক্তি তৈরি হয়ে যাবে, যা কোনো নির্দিষ্ট ‘মাত্রা’ মানবে না।
নিকোটিন পাউচ নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে কি?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: এটি নিয়ে এখনও খুব বেশি গবেষণা হয়নি। এজন্য অনেকেই প্রশ্ন করে, ‘আপনারা তো জানেন না, এটার ক্ষতিকর দিকটা কী?’ কিন্তু আমরা দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি, আসক্তি সৃষ্টিকারী দ্রব্যের চূড়ান্ত ফল ভালো হবে না। আমরা নিশ্চিত, সঠিক গবেষণার ফলে এর নেতিবাচক দিকগুলো সামনে আসবে।
যে কোনো কৃত্রিম জিনিস মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তামাক নিয়ে অনেক রিসার্চ হচ্ছে। আমরা জানি, তামাক ব্যবহারে ক্যান্সার হচ্ছে, আরও অন্যান্য ঝুঁকি আছে। এটি এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য। কিন্তু নিকোটিন পাউচ নিয়ে যেহেতু এখনও ব্যাপক গবেষণা হয়নি, সে জন্য মানুষ জোরালোভাবে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারছে না।
তরুণদের এ ধরণের ক্ষতিকর পণ্যে আসক্ত হয়ে যাওয়ার কারণ কী?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: প্রথম দিকে সাময়িক উত্তেজনা বা প্রশান্তি পাওয়ার জন্য তামাক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার শুরু হয়। তারা একটু হতাশ হলে মনে করে এটা তার জন্য ভালো হবে। কিছুক্ষণের জন্য হয়তো তারা ভালো অনুভব করে, এভাবে শুরু হয়। কিন্তু একবার শুরু হলে এই ‘মরণ ফাঁদ’ থেকে আর ফিরে আসতে পারে না।
তরুণ এবং শিক্ষার্থীদের কাছে আমার আবেদন, তোমরা নিজের জীবন নিজের হাতে এভাবে ধ্বংস করো না। সিগারেট বা অন্য কোনো তামাকজাত পণ্য, যে নামেই বলা হোক না কেন, এসব থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে। নিকোটিন পাউচের কোনো প্রয়োজন নেই। সিগারেট খাওয়ার চেয়ে ওই টাকা দিয়ে কলা বা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া অনেক ভালো।
দেশে নিকোটিন পাউচ কখন থেকে এসেছে?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: দেশে কখন এসেছে আমি নিশ্চিত নই। এখানে পাওয়া যায় কিনা—তা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।
যদিও বলা হচ্ছে, আমাদের দেশে এটি ব্যবহার হবে না, রপ্তানি করা হবে। কিন্তু এক্সপোর্ট করলেও তো ধীরে ধীরে আমাদের দেশে চলে আসবে। আজ এক্সপোর্ট, কাল দেশেই নিকোটিন পাউচ বিক্রি হবে না তার গ্যারান্টি কী? তা ছাড়া আমরা কেন এই ক্ষতিকর জিনিস এক্সপোর্ট করব? যে দেশে রপ্তানি করব, তারাও তো মানুষ, যে দেশেরই হোক। কেন আমরা এই জিনিসের অনুমতি দিব?
তাহলে এটি একেবারে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ হয়ে গেল না?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: একদম। রাষ্ট্র কেন অনুমোদন দিয়েছে আমার মাথায় আসছে না। এমনিতেই আমরা মাদক নিয়ে বাঁচছি না, তার উপরে নতুনভাবে এই পণ্যের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের করণীয় কী ছিল?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: আগেই বলেছি নিকোটিন পাউচের প্রবর্তনের পক্ষে প্রাথমিক যুক্তি ছিল, এটি তামাকের ব্যবহার কমাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, তামাক ব্যবহারকারীরা তামাক ত্যাগ করতে পারেনি, বরং তার সাথে তারা নিকোটিনও নেওয়া শুরু করেছে। অপরদিকে যারা আগে তামাক নিত না, তারা মুখরোচক বিজ্ঞাপনের ফলে নিকোটিন গ্রহণ শুরু করেছে। সুতরাং, আমরা যদি ভালোভাবে চিন্তা করি, এটি উৎপাদনের অনুমতি কেন দিব? আমরা যেখানে বলছি, তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে। এমনকি অনেকে সমাধান হিসেবে বলেন তামাকের ট্যাক্স বাড়িয়ে দিতে, আমি সেটিরও বিপক্ষে। এটি একটি ক্ষতিকর জিনিস, ২০০ শতাংশ ট্যাক্স দিলেই কি আমি তাকে বৈধতা দিব? ক্ষতিকর প্রোডাক্ট আনার কোনো যুক্তি নেই।
এমনকি আমেরিকাতেই এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সে দেশের সরকারের তরফ থেকে এটিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একই সাথে মানুষও আর এটিকে গ্রহণ করছে না। আমাদের ধারণা, এরা যেটা করে, সাধারণত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ফ্যাক্টরি দেয়। যদিও বলা হচ্ছে, আমাদের দেশে এটি ব্যবহার হবে না, রপ্তানি করা হবে। কিন্তু এক্সপোর্ট করলেও তো ধীরে ধীরে আমাদের দেশে চলে আসবে। আজ এক্সপোর্ট, কাল দেশেই নিকোটিন পাউচ বিক্রি হবে না তার গ্যারান্টি কী? তা ছাড়া আমরা কেন এই ক্ষতিকর জিনিস এক্সপোর্ট করব? যে দেশে রপ্তানি করব, তারাও তো মানুষ, যে দেশেরই হোক। কেন আমরা এই জিনিসের অনুমতি দিব? আর যেখানে আমরা তামাকের বিরুদ্ধেই আন্দোলন করছি, সেখানে আবার নতুন আরেকটা পণ্যের প্রবর্তন কেন করাতে যাব? এজন্যই মূলত আমরা এটির প্রতিবাদ করেছি।
দেখেন, তামাক ক্ষেতে যে শিশু ও নারী শ্রমিক কাজ করে, এদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছি আমরা। আমাদের তো আরও অনেক পণ্য আছে রপ্তানি করার, ক্ষতিকর পণ্য এক্সপোর্ট করতে হবে কেন?
আইন বা দণ্ড দিয়ে এই সমস্ত জিনিসকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কাউকে যদি খুন করা হয়, তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড; তাই বলে হত্যা কি বন্ধ করতে পেরেছেন? সুতরাং এটা আইন দিয়ে করা যাবে না, প্রয়োজন কাউন্সেলিং।
তামাক ও মাদক সেবনের নতুন নতুন বিভিন্ন উপকরণ বের হচ্ছে। তারা যতই বলুক এটি ‘কম ক্ষতিকর’, কিন্তু ‘ক্ষতিকর’ তো! তারা কিন্তু ‘ক্ষতিকর নয়’ বলে না, বলে ‘কম ক্ষতিকর’। দুটির মধ্যে তফাৎ আছে। যদি বলত ‘ক্ষতিকর নয়’, তাহলে বুঝতাম যে এটি নিরাপদ।
ফলে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখানে স্পষ্ট। সেটি হচ্ছে তামাক বন্ধ করে দেওয়া। ক্ষুদ্র লাভের জন্য ট্যাক্স বাড়িয়ে কোনো কাজ হবে না। তামাকে ট্যাক্স বাড়াতে গিয়ে ওষুধের পিছনে কত খরচ হচ্ছে, সে হিসেব কি আছে? ট্যাক্স বাড়িয়ে লাভ করলাম, আর ওদিকে আমার ওষুধের কাঁচামাল কিনতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে, এখান থেকে ক্যান্সার হচ্ছে, তার হাসপাতালের খরচ— এসব হিসাব করলে দেখা যাবে লাভ হয় কীনা।
তামাক নিয়ন্ত্রণে তো আইন আছে।
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: আইন বা দণ্ড দিয়ে এই সমস্ত জিনিসকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কাউকে যদি খুন করা হয়, তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড; তাই বলে হত্যা কি বন্ধ করতে পেরেছেন? সুতরাং এটা আইন দিয়ে করা যাবে না, প্রয়োজন কাউন্সেলিং। সকল পর্যায়ে কাউন্সেলিং করতে হবে। পরিবার থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, সমাজের প্রতিটি পর্যায়ে এসবের নেতিবাচক প্রভাব তরুণদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে মোটিভেট করতে হবে।
আইন অবশ্যই থাকতে হবে। বরঞ্চ আরও কঠোর আইন করা উচিত। তবে আইন ব্যবহারকারীদের দিকে না গিয়ে প্রোডাকশন বা প্রস্তুতকারকদের উপর প্রয়োগ করা উচিত। ট্যাক্স বাড়িয়ে সমস্যা সমাধান হবে না। এটি নিষিদ্ধ করতে হবে। ট্যাক্স যদি ২০০০ শতাংশও করে, লাভ কী? সিগারেটের দাম বেড়ে যাবে, যারা আসক্ত তারা বেশি দামে খাবে। তখন চুরি-ছিনতাই আরও বেড়ে যাবে।
তামাকে ট্যাক্স বাড়াতে গিয়ে ওষুধের পিছনে কত খরচ হচ্ছে, সে হিসেব কি আছে? ট্যাক্স বাড়িয়ে লাভ করলাম, আর ওদিকে আমার ওষুধের কাঁচামাল কিনতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে, এখান থেকে ক্যান্সার হচ্ছে, তার হাসপাতালের খরচ— এসব হিসাব করলে দেখা যাবে লাভ হয় কীনা।
মাদক ব্যবহারকারী যখন টাকা-পয়সা পায় না, বাবাকে খুন করতেও তাদের হাত বাঁধে না, চুরি-ছিনতাই আরও ছোট ব্যাপার। ফলে যখন মাদকের দাম বেড়ে যায়, টাকা-পয়সা পায় না তখন আরও বেশি ডেসপারেট হয়ে যায়। এ জন্য মাদক একেবারে নিষিদ্ধ করে দিতে হবে।
তামাকের বিকল্প বলে নিকোটিন পাউচের উদ্ভাবন হয়েছে, কিন্তু এটিও ক্ষতিকর। তাহলে প্রকৃত বিকল্প কী?
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: এ জন্যই স্কুল-কলেজে আমরা কাউন্সেলিংয়ের জন্য সাইকোলজিস্ট নিয়োগের দাবি তুলছি। সমস্ত তরুণ কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। আমরা যদি সাইকোলজিস্ট রাখতে পারে, তারা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করবে। আমি অনুরোধ জানাব, যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, ওই সমস্ত মাদকের দিকে না গিয়ে বরং কাউন্সেলরের কাছে যাক। কাউন্সেলিং যথেষ্ট।
অভিভাবকরা এখানে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন? বিশেষ করে নিত্যনতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে আমাদের দেশের অভিভাবকরা অনেক ক্ষেত্রেই অবগত থাকেন না।
প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন খান: এখানে সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব, এটিকে প্রচার করে জনসাধারণকে সচেতন করা। নিকোটিন পাউচের বিষয়ে মানুষ গত এক সপ্তাহ থেকে জানছে। এটি শুরু হয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটিতে প্রতিবাদের মাধ্যমে। আমরা মানববন্ধন ও সেমিনারের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করেছি। আমাদের আন্দোলন মূলত তামাকের বিরুদ্ধেই, এই নিকোটিন পাউচও এতে যুক্ত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম যদি এর নেতিবাচক দিকগুলো প্রকাশ করে, মানুষ ধীরে ধীরে বিষয়টি বুঝতে পারবে।
আর অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, আপনার সন্তানরা কী করছে, তাদের দৈনন্দিন রুটিনে কোনো অস্বাভাবিকতা-অসংলগ্নতা আছে কিনা খেয়াল করুন। তারা কম ঘুমাচ্ছে কিনা, দরজা সারাক্ষণ বন্ধ করে রাখছে কিনা; এই ছোট ছোট পরিবর্তন লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে। কেউ জন্মগতভাবে এডিক্টেড হয় না; যখন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে, তখন বাবা-মা বা অভিভাবকের উচিত এক্সপ্লোর করা যে কেন এটি হচ্ছে। বেস্ট কাউন্সেলর হচ্ছেন বাবা-মা, তারপরে শিক্ষক।