বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা
রুমিন ফারহানা © সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে সেই তালিকায় দলের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম নেই। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তালিকাটি ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দিনভর সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার পর রাতে চ্যানেল 24-এর টকশোতে যোগ দিয়ে রুমিন ফারহানা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান ও সাংবাদিক ও বিশ্লেষক সাহেদ আলম। আলোচনার বিষয় ছিল ‘মনোনয়ন: পাওয়া না পাওয়ার হিসাব’।

রুমিন ফারহানা জানান, তার মনোনয়ন আপাতত ‘অন হোল্ড’ অবস্থায় রয়েছে। বিএনপির দীর্ঘদিনের সহযোগী কিছু দলের সঙ্গে জোটগত সমঝোতার কারণে এখনও ৬৩টি আসন ঘোষণা করা হয়নি। পাশাপাশি নতুন কিছু দলের সঙ্গে জোটের আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘১২-১৫ বছর ধরে সুখে-দুঃখে যেসব দল বিএনপির পাশে ছিল, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনা হচ্ছে। তাই এখনো অনেক আসন ঝুলে আছে। দল ‘উইনেবল’ প্রার্থী খুঁজে দেখছে। সেই বিবেচনায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’

মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় দলে স্বাভাবিকভাবেই প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে। অনেক আসনে ১০-১২ জন করে প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত নির্বাচন কঠিন হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। বিক্ষোভকে নেতাকর্মীদের আবেগের অংশ হিসেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।’

রুমিন ফারহানা বলেন, তালিকাটি এখনও প্রাথমিক, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসতে পারে। কেউ বাদ পড়তে পারেন, আবার নতুন কেউ যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া কিছু আসনে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত আইনি জটিলতার কারণে মনোনয়ন স্থগিত রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বাগেরহাট-২ আসনের কথা উল্লেখ করেন।

নারী প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ে তিনি জানান, যদি বিএনপি নারী মনোনয়ন ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে রাজি হয়, তাহলে চূড়ান্ত তালিকায় আরও নারী প্রার্থী যুক্ত করা সম্ভব। এছাড়া কিছু আসনে কমিশনের দ্বন্দ্ব এখনও মুলতুবি থাকায় মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে।