জেলহত্যা দিবস আজ

জাতীয় চার নেতা
জাতীয় চার নেতা © সংগৃহীত

আজ ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। জাতির ইতিহাসে এ দিনটি চিরবেদনাময় ও কলঙ্কময় এক অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয়।

১৯৭৫ সালের ২২ আগস্ট খন্দকার মোশতাকের সরকার এ চার জাতীয় নেতাকে গ্রেফতার করে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার নেতাকে  গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার পাল্টাপাল্টি দখলের ধারাবাহিকতায় রাতের আঁধারে কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় এই চার নেতাকে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা জেলহত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়।

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আদালতের রায়ে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তিন আসামিকে। সাজাপ্রাপ্ত এই ১১ আসামির মধ্যে ১০ জনই ধরাছোঁয়ার বাইরে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি ধরা পড়েন এবং ওই মাসেই তার ফাঁসি কার্যকর হয়।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত থেমে ছিল দীর্ঘ ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।