আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলি, নিহত বেড়ে ২
- ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০:৫৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে। আহত অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুইজন, যার মধ্যে একজন শিক্ষকও আছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াছিন মারা যান। এর আগে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন – আলমনগর গ্রামের ইয়াছিন মিয়া (২০) এবং নুরজাহানপুর গ্রামের শিপন মিয়া (৩০)।
চিকিৎসাধীন দুজন হলেন – থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন (৩৮) এবং চরলাপাং গ্রামের নুর আলম (১৮)। আহত এমরান স্থানীয় মোহিনী কিশোর স্কুল ও কলেজের শিক্ষক এবং নুর আলম হোটেল কর্মচারী।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নুরজাহানপুর গ্রামের মোন্নাফ মিয়া ও তার ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত ও আরাফাত মিয়ার বিরোধ চলছিল।
শনিবার রাতে গণি শাহ মাজার এলাকার একটি হোটেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন শিপন। এসময় আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
শিপনের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মোন্নাফ মিয়ার লোকজন তালতলায় শিক্ষক এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে গুলি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক বলেন, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দফায় গুলি চালানোর ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।