শেরপুরে বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত উঠতি আমন ধান, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

 কেটে খেতে বিছিয়ে রাখা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে
 কেটে খেতে বিছিয়ে রাখা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে © টিডিসি

শেরপুরে গত দুই দিনের থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে উঠতি আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। মাঠে পাকা ধানগাছ হেলে পড়েছে, আর আগে কেটে খেতে বিছিয়ে রাখা ধানগুলো বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ঘরে ফসল তোলার আগ মুহূর্তে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও হতাশা।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে শেরপুরে ৯৩ হাজার ৬৯৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় কৃষকেরা ভালো ফলনের আশায় ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিচু এলাকার অনেক খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং ধানগাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। অনেক স্থানে ধানগাছ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত শনিবার শেরপুরে ১৩৫ মিলিমিটার ও রোববার ১০ দশমিক ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগসহ সংলগ্ন ভারতের রাজ্যগুলোতে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আমন আবাদ পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক হিসেবে জেলায় প্রায় ৩০ হেক্টর জমির আমন আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আর বৃষ্টি না হলে এবং রোদ উঠলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।”

কৃষকেরা বলছেন, সময়মতো রোদ না উঠলে কাটা ধান নষ্ট হয়ে যাবে এবং উৎপাদন খরচও তুলতে পারবেন না। তাই দ্রুত আবহাওয়ার উন্নতির আশায় দিন গুনছেন তারা।