লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় অডিও-ভিজ্যুয়াল নজরদারি বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিএম‌ইউ) অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি ১৬ মেডিকেল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার কক্ষে স্থাপন করা হচ্ছে উচ্চ রেজ্যুলেশনসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা। শুধু ভিডিও নয়, এর অধীনে পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে অডিওও। লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার কক্ষেও এ ক্যামেরা বসানো হবে।

আজ রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা. অজয় দেব দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পরিচালিত সকল লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার কক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সার্বিক নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে অডিও সুবিধা ও সর্বোচ্চ রেজুলেশন ক্ষমতাসম্পন্ন আইপি সেট-আপ সিসিটিভি স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করা হল। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের পূর্ণ স্বত্ত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে প্রেরণের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা. অজয় দেব বলেন, পরীক্ষা নকলমুক্ত রাখতে কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা নকলমুক্ত পরীক্ষা উপহার দিতে এই উদ্যোগ নিচ্ছি। সিসি ক্যামেরার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের। একইসাথে মৌখিক পরীক্ষা নিয়েও কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষার কক্ষেও সিসিটিভি স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের পাশাপাশি ডেন্টাল, নার্সিংসহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে এই নোটিশ দিয়েছি। ধীরে ধীরে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার কক্ষ সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ২০১৭ সালে। চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও কুমিল্লা— ৬ সরকারি মেডিকেলসহ ১৯টি মেডিকেল কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি নার্সিং কলেজসহ আরও প্রায় ৩৯টি প্রতিষ্ঠান সিএম‌ইউর অধিভুক্ত হিসেবে রয়েছে। আগে এসব প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ছিল।