সকালে হাঁটার নয়টি চমকপ্রদ উপকারিতা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত

সুস্থ ও সবল শরীরের জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। তবে ব্যস্ত জীবনে সবার পক্ষে জিমে যাওয়া বা কঠিন এক্সারসাইজ করা সম্ভব নয়। সেই জায়গায় সবচেয়ে সহজ, কার্যকর ও স্বস্তিদায়ক উপায় হতে পারে মর্নিং ওয়াক; অর্থাৎ সকালে নিয়মিত হাঁটাচলা। এটি শুধু শরীর নয়, মনকেও রাখে চনমনে ও সতেজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত সকালে হাঁটলে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দূরে থাকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন সকালে হাঁটার নয়টি উপকারিতা—

এনার্জি বুস্টার
সকালে হাঁটলে শরীর ও মন দুই-ই সতেজ থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মর্নিং ওয়াক এনার্জি লেভেল বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে এবং সারাদিনের কাজে উদ্যম জোগায়। এতে সারাদিন ঝিমুনি ভাব বা অবসাদ থাকে না, বরং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
মর্নিং ওয়াকের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যা মানসিক সতর্কতা ও রিফ্লেক্স বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং অ্যালঝাইমার্সসহ বিভিন্ন স্নায়ুবিক রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
নিয়মিত সকালে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে, মেজাজ ভালো থাকে ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। একঘেয়েমি বা খিটখিটে মেজাজ দূর হয়, মন থাকে ফুরফুরে। কয়েক দিন হাঁটার অভ্যাসেই মানসিক অবসাদ অনেকটাই কমে আসে।

ঘুমের সমস্যা দূর করে
যাদের অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য মর্নিং ওয়াক হতে পারে দারুণ সমাধান। সকালে হাঁটাচলা করলে শরীরে ন্যাচারাল স্লিপ হরমোন মেলাটোনিন ঠিকভাবে ক্ষরিত হয়, ফলে সহজেই ঘুম আসে এবং ঘুমের মানও ভালো হয়।

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়
হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে হাঁটা সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়ামগুলোর একটি। দ্য হার্ট ফাউন্ডেশন-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে যায়। এটি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস করে।

সামাজিক সংযোগ বাড়ায়
সকালে হাঁটতে বেরোলে পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়, হাসি-মজা ভাগ করা যায়। এই সামাজিক মেলামেশা মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং একাকিত্ব বা বিষণ্ণতা দূর করতে সহায়ক হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত হাঁটা অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপও কমে যায়। বিশেষ করে টাইপ–২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়।

শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে
হাঁটাচলা ও হালকা ব্যায়াম শরীরের পেশি ও হাড়কে সক্রিয় রাখে। এতে শরীরের ভারসাম্য ও নমনীয়তা বজায় থাকে, অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না, ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমে যায়।

জয়েন্ট ও মাসেল পেন কমায়
নিয়মিত সকালে হাঁটলে পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাওয়ায় শরীর থাকে নমনীয় ও হালকা। তরুণদের ক্ষেত্রেও এটি মাসেল স্টিফনেস বা অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে।