চৌর্যবৃত্তির আইনীকরণ হয়েছে জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি আইনের মাধ্যমে : রিজভী
- ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২০
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিদ্যুৎ খাতে ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। এখান থেকে যে টাকা আসবে তা কীভাবে পাচার করে দেবে, সেটাকে একটা আইনি কাভার দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ খাতে ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। মূলত চৌর্যবৃত্তির আইনীকরণ করা হয়েছে এই ইনডেমনিটি আইনের মাধ্যমে।
শনিবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোজাফফর চৌধুরী অডিটরিয়াম কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কর্তৃক আয়োজিত ‘ক্যাব যুব সংসদ-২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি আইনটা বাতিল করতে হবে। যে সরকারই আসুক এই কালোটা বাতিল করতে হবে। বিএনপি যদি আসে অবশ্যই দায়িত্ব নিয়ে সবার আগে এই আইন বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তর আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান উপদেষ্টা থ্রি জিরোর কথা বলেছেন। সেখানে কার্বন শূন্যের কথা রয়েছে। সরকার কিছু উদ্যোগও নিয়েছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আরও যেসব কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেটা নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফার কথা বলেছেন সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের কথা গুরুত্বারোপ করেছেন। তা ছাড়া পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নদীর নাব্যতা নিয়েও ওনার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সূর্যতাপ ও বায়ু প্রবাহ এই দুই পদ্ধতির পাশাপাশি বিকল্প কী হতে পারে, তা খুঁজে বের করতে হবে। যারা এসব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ রয়েছেন তারা বিকল্প খুঁজে বের করবেন। আমাদের সবাইকে যে যে রাজনৈতিক দলেরই থাকি না কেন আমরা উপসংহারে এসে বলব, আমরা সবাই বাংলাদেশকে ভালোবাসি।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন আস্তে আস্তে বদলাচ্ছে। আমাদের সময় এই সময় সেমিনার ছিল না। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিল, মিটিং করত। এখানে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে তা আরও বিস্তারিত আলোচনা দরকার যে সবার মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয়। যেমন সংস্কার প্রস্তাব আলোচনা হলো আট মাস ধরে।সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন মিটিং করা হয়েছে। এ আলোচনা চায়ের দোকানেও হয়েছে। ঠিক তেমনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে সবার মধ্যেই সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র যতক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কমিটমেন্ট না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন সমাধান আসবে না। জ্ঞানের ভিত্তিতে জ্বালানিও একটি আন্দোলন এটা বুঝতে হবে।বিশ্বে অনেক দেশ বদলেছে । আমাদেরও এখন বদলাতে হবে। আমার বদলাতে পারি না কারণ যারা ক্ষমতায় যায় তারা বদলায় না। ভোটের সময় নানা কথা বলে। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সেসব করে না। পরিবর্তন এই জেনারেলকে দিয়েই হবে। ১৯৫২ সাল থেকে সেসব ইতিহাস রচিত হয়েছে তা রচনা করেছে এই তরুণরা। তাই তরুণরাই এই ব্যাপারে এগিয়ে আসবে।’
ডাকসুর জিএস এসএম ফরহাদ বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় পর ক্ষমতা পরিবর্তন ঘটেছে, কিন্তু জ্বালানি খাতে তার সিস্টেম রয়ে গেছে।শুধু নাগরিক সচেতন হলে জ্বালানি খাতের এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। নাগরিকদের নীতি নির্ধারণী হিসেবে যারা কাজ করেন তারা যদি সচেতন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদের এসব নিয়ে কথা বলতে হবে। যদি না বলে তাহলে তরুণরা তাদের চ্যাক অ্যান্ড ব্যালেন্সে রাখবে।’