মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ক্লাস বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের

মাওলানা মো. জামাল হোসেন
মাওলানা মো. জামাল হোসেন © সংগৃহীত

বরিশালের বানারীপাড়া থানা জামে মসজিদের ইমাম ও  এম এ. লতিফ বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাৎ,পরীক্ষায় অনিয়ম এবং নৈতিক আচরণবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আগের সরকার আমলে প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিজের বাড়িতে সরকারি গভীর নলকূপ বসান। এছাড়া মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য পাওয়া সরকারি টাকার একটি অংশ আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে।

তদন্তে আরও জানা গেছে, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় তিনি নিজেই কিছু খাতায় উত্তর লিখে নম্বর দিয়েছেন এবং তার কোচিংয়ের শিক্ষার্থীরাও এ কাজে জড়িত ছিলেন।

তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২, সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি ১৯৭৯ এবং পাবলিক পরীক্ষা অধ্যাদেশ ১৯৮০ অনুসারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

এ অভিযোগের প্রতিবাদে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ৩০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনপত্রে তারা জানান, তারা আর ওই শিক্ষকের ক্লাস করবে না এবং বিকল্প শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদান চালুর দাবি জানান।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি এবং তদন্তে সহযোগিতা করেছি। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে। শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। তদন্ত শেষ হলে প্রশাসন ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেবে।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মাওলানা মো. জামাল হোসেনের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

পৌরসভাবাসী তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।