মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ৮ পৃষ্ঠার নীতিমালা প্রকাশ, দেখুন এখানে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা © সংগৃহীত

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার নীতিমাল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা, নিয়ম, কোটা ও মাইগ্রেশনসহ বিস্তারিত জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি)। সিনিয়র সহকারী সঞ্জীব দাস সাক্ষরিত ওই নীতিমালা ২৯ অক্টোবর চূড়ান্ত হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হইবে। প্রার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। দুইটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ পয়েন্ট হতে হবে।

আবেদন যোগ্যতায় বিস্তারিত তুলে ধরে বলা হয়েছে:

—আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হইতে হইবে। কেবলমাত্র সরকার কর্তৃক বিদেশিদের জন্য সংরক্ষিত সরকারি আসনে এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত কোটায় বিদেশি শিক্ষার্থীগণ আবেদন করিতে পারিবেন;

—দেশি আবেদনকারীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুইটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। দুইটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.৫০ পয়েন্ট হইতে হইবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট এর কম থাকিলে আবেদনের অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে;

—দেশি আবেদনকারীকে এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হইতে হইবে এবং এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ অবশ্যই পদার্থ বিজ্ঞান (Physics), রসায়ন (Chemistry) ও জীববিজ্ঞান (Biology) পাঠ্য থাকিতে হইবে এবং জীববিজ্ঞানে (Biology) কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকিতে হইবে;

—সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি বা যে দেশে এসএসসি পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা নাই সে দেশের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ স্কেলে সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৮.৫০ পয়েন্ট এবং জীববিজ্ঞানে (Biology) জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকিতে হইবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট এর কম থাকিলে আবেদনের অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।

—বেসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি বা যে দেশে এসএসসি পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা নাই সে দেশের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৭.০০ পয়েন্ট এবং জীববিজ্ঞানে (Biology) জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকিতে হইবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট এর কম থাকিলে আবেদনের অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।

—পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ সকল উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা দুইটিতে সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৮.০০ পয়েন্ট এবং জীববিজ্ঞানে (Biology) জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকিতে হইবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট এর কম থাকিলে আবেদনের অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে;

—আবেদনকারী যে শিক্ষাবর্ষের জন্য মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিবে তাহাকে সর্বশেষ সেই শিক্ষাবর্ষে বা তৎপূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। আবেদনকারীকে সর্বশেষ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিত এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার পূর্ববর্তী ০৩ (তিন) শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে;

উদাহরণ: ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২৪ সাল অথবা ২০২৫ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। ২০২২ সালের পূর্বে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না;

২.৮ 'ও'লেভেল/'এ'লেভেল অথবা বিদেশি শিক্ষা ব্যবস্থায় সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক তাহাদের নম্বরপত্রসমূহ সমতাকরণ করিতে হইবে।

পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা দেখতে ক্লিক করুন: মেডিকেল ভর্তি নীতিমালা 


ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া
এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করিয়া শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হইবে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করা হইবে। সদ্য এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ৮ গুণ এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১২ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হইবে। তবে পূর্ববর্তী বৎসরের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর হইতে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বৎসরের সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তিকৃত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর হইতে ৫ নম্বর কর্তন করিয়া মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হইবে;

উদাহরণ: সদ্য উত্তীর্ণ প্রার্থী: এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০২৫ সাল পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ প্রার্থী: এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০২৪ সাল

—দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির জন্য একই সঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। ইংরেজি মাধ্যমে উত্তীর্ণ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করিতে হইবে;

—লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ টি প্রশ্নের (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) প্রতিটি ১ নম্বর করিয়া মোট ১০০ (একশত) নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন যথাক্রমে, জীববিজ্ঞান-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থবিজ্ঞান-১৫, ইংরেজি-১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলী মূল্যায়ন-১৫ হইবে। ৪০ নম্বর পাশ মার্ক নির্ধারণ করা হইবে। পরীক্ষার সময়কাল ১ (এক) ঘণ্টা ১৫ (পনের) মিনিট হইবে;

—লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হইবে;

—জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীণ না হইলে কোন শিক্ষার্থী দেশে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে ভর্তির জন্য বিবেচিত হইবে না;

—প্রবেশপত্রে আবেদনকারীর ছবির জলছাপ সন্নিবেশ করিতে হইবে। পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষার হলে বলপয়েন্ট ব্যতীত অন্য কোনো কলম, পেন্সিল, ঘড়ি অথবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনিতে পারিবে না;

—এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী (ইনভেজিলেটর, শিক্ষক, পরিদর্শন টিমের সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক ইত্যাদি) পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করিতে পারিবেন না। তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র/ভেন্যুর দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র/ভেন্যু প্রধান কেবলমাত্র জরুরী প্রয়োজনে অফিস কক্ষে/ভর্তি পরীক্ষার কন্ট্রোল রুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করিতে পারিবেন। কোনো অবস্থাতেই কেউ পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করিতে পারিবেন না;

শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট এ ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হইবে।

পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে: মেডিকেল ভর্তি নীতিমালা