বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সুপার নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধে এবার মাউশির চিঠি
- ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৫৩
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার, সহকারী সুপার পদে নিয়োগও হবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে। এ বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। গত ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনার কথা জানানোর পর এবার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) মাউশি এ সংক্রান্ত চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার সব অঞ্চলের পরিচালক, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার উপ-পরিচালক এবং ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্টকে পাঠায়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার ও সহকারী সুপার)-এর পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখা সংক্রান্ত অফিস আদেশ-এর মর্মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছিলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হয় এনটিআরসিএর অধীন পরীক্ষা ও সুপারিশের ভিত্তিতে। তবে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং কর্মচারী পদে নিয়োগ পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে হয়ে আসছিল। এসব পদে নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আছে।
সম্প্রতি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগে এতদিন ধরে চলা নিয়মও পরিবর্তন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়মে এ নিয়োগে পরিচালনা পর্ষদের ক্ষমতা থাকছে না। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটির মাধ্যমে এসব পদে নিয়োগে পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। এ কমিটিতে পরিচালনা পর্ষদের কেউ থাকতে পারবেন না।
অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং কর্মচারী পদে নিয়োগও এনটিআরসিএর মাধ্যমে নেওয়ার পরিকল্পনা কথা অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। এখন এ বিষয়ে উদ্যোগ নিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি।