গ্রেড কমানো নিয়ে একমত পে কমিশন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি © টিডিসি ফটো

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে পে কমিশন। বিদ্যমান গ্রেড ভেঙে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত কমাতে কমিশন আন্তরিক। পে কমিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং এ বিষয়ে সবাই একমত বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। 

তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, এগুলোর প্রায় সবটিতেই গ্রেড কমিয়ে ১০ থেকে ১২টি করার দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন কমিশনের সদস্যরা। সবাই একমত হলে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হবে। কমিশনের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। তারা বলেন, যে পেক্ষাপটে কমিশন গঠন করা হয়েছে এর অন্যতম উদ্দেশ্য বৈষম্য কমিয়ে আনা। এজন্য গ্রেড কমিয়ে বৈষম্য কমানো হবে এটা নিশ্চিত, তবে কতটি করা হবে এবং অনুপাত কেমন হবে সেটি জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

অনলাইনে মতামত নেয়ার পর এখন বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করছে কমিশনের সদস্যরা। সংগঠন বেশি হওয়ায় পে কমিশনের সদস্যরা তিনভাগে ভাগ হয়ে মতবিনিময়ে অংশ নিচ্ছেন।

কমিশন সূত্রে খবর, অনলাইনে দুই হাজারের বেশি সংগঠন নতুন পে স্কেল নিয়ে তাদের মতামত জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে যাচাইবাছাই করে ২৫০-৩০০ সংগঠনকে মতবিনিময়ের জন্য ডেকেছে কমিশন। তবে এখনও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মতবিনিময়ে ডাক পেতে আবেদন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পে-স্কেলের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব, কোন গ্রেডে কত?

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবে পে কমিশন। এরপরেই সব মতামত পর্যালোচনা করে সুপারিশের খসড়া করা হবে। তখন সব সদস্যের সম্মতিতে চূড়ান্ত করে জমা দেয়া হবে সুপারিশ।

কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান সরকার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অনলাইনে মতামত নেয়া শেষ হয়েছে গত ১৫ অক্টোবর, এখন সমিতিগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় চলছে। আগামী ৩০ অক্টোবর এই মতবিনিময় শেষ হবে। তারপর আমরা বসে চূড়ান্ত সুপারিশের দিকে যাবো।

কর্মচারীরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কমিশন গঠনের সময়ই সময় বেধে দেয়া হয়েছে, সেখানে সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। তাই কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নয়, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই নতুন পে স্কেল ঘোষণা করতে চাই। এই লক্ষ্যে সবাই কাজ করছি।

বর্তমানে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকুরীজীবী, সরকারি প্রতিষ্ঠান (স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ) কিংবা বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতি বেতন কাঠামো কেমন চায়, সে বিষয়ে উন্মুক্ত মতামত নেয় কমিশন। এক্ষেত্রেও গ্রেড পুনর্বিন্যাস করার বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছিল কমিশন। কমিশনের প্রশ্ন-৫ এ মতামত চেয়ে বলা হয়েছিল, আপনি কি ২০ গ্রেড বেতন কাঠামোর পক্ষে? এরপরেই প্রশ্ন করা হয়েছে, আপনার পছন্দের গ্রেড সংখ্যা কত? অপর প্রশ্নে পছন্দের গ্রেড সংখ্যার যৌক্তিকতা জানতে চেয়েছিল কমিশন।