শিক্ষাঙ্গনে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামীপন্থী ৪৮১ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের উদ্বেগ
- ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১৭
গত এক বছরে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাঙ্গনে মব সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে দেশের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের মূলভিত্তিকে ভেঙে ফেলার ঘৃণ্য চেষ্টা চলছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল (আওয়ামীপন্থী) ৪৮১ শিক্ষক। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব আলম প্রদীপ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, গত এক বছরে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাঙ্গনে মব সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে দেশের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের মূলভিত্তিকে ভেঙে ফেলার ঘৃণ্য চেষ্টা চলছে। এই ধারাবাহিক বর্বরতার সাম্প্রতিক উদাহরণ সাভারের সিটি ইউনিভার্সিটিতে অগ্নিসংযোগের নৃশংস ঘটনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া মানে শুধু একটি ভবন ধ্বংস নয়, বরং জাতির বিবেক, বুদ্ধিবৃত্তি ও ভবিষ্যৎকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার দুঃসাহসিক চেষ্টা।’
আরও পড়ুন: ডাকসুর আমন্ত্রণে ঢাবিতে রুহুল কবির রিজভী
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন শক্তি আজ সংগঠিতভাবে উচ্চশিক্ষা, সংস্কৃতি, মুক্তচেতনা ও মানবিকতার শেকড়ে আঘাত হানছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ, ভাষা আন্দোলনের প্রতীক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ধারাবাহিকতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ডকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দেওয়া।’
প্রগতিশীল শিক্ষকরা আরও বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গন কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; এটি মানবিকতা, যুক্তি ও প্রগতির দুর্গ। মুক্তিযুদ্ধ, মানবিকতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার চর্চার ক্ষেত্রগুলোকে রক্ষা করা কেবল নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি জাতির প্রতি আমাদের ঐতিহাসিক অঙ্গীকার।’
বিবৃতিতে শিক্ষাঙ্গনে মব সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ করা এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।