ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে বিশ্ব মিডিয়া ও তথ্য সাক্ষরতা সপ্তাহ উদযাপন শুরু
- ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:০৩
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব মিডিয়া এবং তথ্য সাক্ষরতা (এমআইএল) সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন শুরু হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) ইউনিভার্সিটির তথ্য অধ্যয়ন বিভাগের উদ্যোগে ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিস এবং মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (MILNetBD) এর সহযোগিতায় সপ্তাহব্যাপী এই উদযাপনের উদ্বোধন করা হয়।
"মাইন্ডস ওভার এআই-ডিজিটাল স্পেস-এ এমআইএল" শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং একটি র্যালির মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী উদযাপনের সূচনা হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাকিবা ইয়াসমিন, তথ্য অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম এবং MILNetBD-এর সভাপতি এবং তথ্য অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম র্যালি এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা, তথ্য পেশাজীবী, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশে ডিজিটাল এবং তথ্য সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তথ্য অধ্যয়ন বিভাগের প্রশংসা করেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই বিভাগের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মিডিয়া এবং তথ্য সাক্ষরতা প্রচারের উদ্যোগের প্রতি ইউনেস্কোর অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক আজকের সমাজে মিডিয়া এবং তথ্য সাক্ষরতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন।
মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-এর সভাপতি এবং তথ্য অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন। তিনি ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করতে নীতিগতভাবে সক্ষম, দায়িত্বশীল এবং সচেতন প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য শিক্ষায় মিডিয়া এবং তথ্য সাক্ষরতাকে একীভূত করার উপর জোর দেন।
উদযাপনটি সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন আকর্ষণীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে। ২৭, ২৯ এবং ৩১ অক্টোবর সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা অনুষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের তাদের ডিজিটাল জীবনে মিডিয়া এবং তথ্য সাক্ষরতার ভূমিকা সক্রিয়ভাবে অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করবে।
২৮ অক্টোবর, “উচ্চশিক্ষায় মিডিয়া এবং তথ্য সাক্ষরতার একীভূতকরণ” শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় শিক্ষাবিদ এবং পেশাদাররা বাংলাদেশে মিডিয়া এবং তথ্য সাক্ষরতাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং ওদিনই একটি কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ অক্টোবর “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি তথ্য সাক্ষরতার বিকল্প?” শীর্ষক একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-এর সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এই কর্মসূচির অংশ। এই উদ্যোগগুলোর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে নৈতিক ডিজিটাল নাগরিকত্বকে অনুপ্রাণিত করা এবং তথ্য সাক্ষরতা শিক্ষাকে শক্তিশালী করা বলে।