আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
- ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৮
দক্ষিণ চীন সাগরে আধঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। দুটি বিমানই ছিল মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ-এর অংশ। সৌভাগ্যক্রমে পাঁচ ক্রু সদস্যই জীবিত আছেন। তবে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি দুর্ঘটনা ঘটায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন নৌবাহিনীর নিরাপত্তা মানদণ্ড নিয়ে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিটের বরাতে এপি জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে দক্ষিণ চীন সাগরে 'ইউএসএস নিমিৎজ' থেকে উড্ডয়ন করা এক যুদ্ধবিমান ও এক হেলিকপ্টার আধঘণ্টার ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছে।
ফ্লিটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’ হেলিকপ্টারের তিন ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। একইভাবে এফ/এ-১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানের দুই পাইলটও ইজেক্ট করে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। মোট পাঁচজনই 'সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল অবস্থায়' রয়েছেন। দুটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অবসরের আগে ইউএসএস নিমিৎজ বর্তমানে তার শেষ মিশনে রয়েছে। গ্রীষ্মকালজুড়ে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করার পর এটি এখন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের নেভাল বেস কিটস্যাপের উদ্দেশে ফিরছে।
অন্যদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে নিমিৎজকে পাঠানো হয়েছিল।
তবে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান-এ পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ডিসেম্বরে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস গেটিসবার্গ ভুলবশত ট্রুম্যান থেকে উড্ডয়ন করা একটি এফ/এ-১৮ জেটকে ভূপাতিত করে। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে আরেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান ট্রুম্যানের হ্যাঙ্গার ডেক থেকে পিছলে লোহিত সাগরে পড়ে যায়। একই বছরের মে মাসে ট্রুম্যান রণতরীতে অবতরণের সময় আরেকটি যুদ্ধবিমান থামার তারে আটকে না গিয়ে সাগরে পড়ে যায়, ফলে পাইলটদের ইজেক্ট করতে হয়।যদিও এসব ঘটনায় কোনো নৌসেনা নিহত হননি, তবে তদন্ত শেষ হলেও দুর্ঘটনাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি।