জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, খালু গ্রেপ্তার
- ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৯
হবিগঞ্জের মাধবপুরে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ভাতিজিকে অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগে মো. জাবেদ মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। তিনি ভুক্তভোগীর কিশোরীর খালু বলে জানিয়েছে র্যাব।
জানা যায়, শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া বাজার এলাকায় র্যাব-৯, সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত জাবেদ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাংঘর গ্রামের মৃত ছত্তার মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী মাধবপুর থানার বাসিন্দা। পারিবারিক আত্মীয়তার সূত্রে খালু জাবেদ মিয়ার তাদের বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল। ঘটনার দিন গত ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে জানান, সেদিন তিনি রাতে সেখানে অবস্থান করবেন। তাকে ভুক্তভোগীর পাশের কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়।
পরে রাতের খাবারের পর তিনি জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ভুক্তভোগী ও তার বড় বোনকে খাওয়ান। কিছু সময় পর তারা অচেতন হয়ে পড়েন। পরদিন সকাল ৭টার দিকে পাশের বাসার লোকজন ডাকাডাকি করলে ভুক্তভোগীর বড় বোন জ্ঞান ফিরে দেখতে পান তার ছোট বোন অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।
জ্ঞান ফেরার পর ভুক্তভোগী জানান, জুস খাওয়ার পর তিনি কিছুটা অচেতন হয়ে পড়লে জাবেদ মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা (নম্বর ৩৪, তারিখ ২৫/১০/২০২৫) দায়ের করেন। মামলার পরপরই র্যাব-৯ এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাব সদস্যরা নোয়াপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি জাবেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে মাধবপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব-৯ জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।