যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় হামলা, ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে মিছিল

ডাকসু নেতাদের হুঁশিয়ারি

ক্যাম্পাসে মিছিল ও হামলায় আহত এক
ক্যাম্পাসে মিছিল ও হামলায় আহত এক © টিডিসি সম্পাদিত

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ভবঘুরে ও অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ডাকসু প্রতিনিধি ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যসহ সিটি কর্পোরেশন পুলিশ এবং মেট্রোরেল পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে একদল শিক্ষার্থী ও হকারদের। অপর দিকে, একই সময়ে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে একদল শিক্ষার্থী শাহবাগ থানার সমানে ঢাবির প্রক্টরিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স এর এক সদস্যদের ওপর হামলা করেছে। আহতের নাম ওমর ফারুক। এ ঘটনায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসু নেতারা।

আহত ওমর ফারুক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শাহবাগ থানার সামনে ব্যরিকেট বসানো হয়েছে। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় একদল যুবক তর্কাতর্কি জড়ানোর জেরে আমরা ওপর হামলা চালায়। এতে কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেরও ছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে, সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায় একদল শিক্ষার্থী ও হকারদের। এসময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এ ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেন, ক্যাম্পাসের স্টেকহোল্ডার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর বাইরে কোনো মাদক ব্যবসায়ী, অনিবন্ধিত দোকানদার কিংবা হকারদের কোনো ইস্যুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। বহিরাগত উচ্ছেদে যাদের পুরানো মাদক ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের সিন্ডিকেট ভেঙে যাচ্ছে, তারা আজ নতুন বয়ান হাজির করার চেষ্টা করল এবং মিছিলেরও আয়োজন করল। কথা একটাই — হয় ডাকসু থাকবে, নতুবা অবৈধ ব্যবসা-মাদক সিন্ডিকেট থাকবে; দুটো একসাথে চলতে দেবো না।

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, বিকেলে প্রশাসন গিয়ে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান ভেঙে দিয়ে আসছে। আর এখন বামরা তাদেরকে জড়ো করিয়ে মিছিল করাচ্ছে ক্যাম্পাসে! এটা কি সার্কাজম নাকি? আমরা ব্যাক্তিজীবন নষ্ট করে ক্যাম্পাস সেফ রাখবো আর তারা এসে হাঙ্গামা করবে! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবিলম্বে এগুলো না থামালে পরবর্তী ঘটনার দায় তাদেরকে নিতে হবে।

জানতে চাইলে ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা আমরা জোরদার করব। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু প্রক্টোরিয়াল টিমের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে আমরা সিটি কর্পোরেশন, মেট্রোরেল পুলিশ এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি আরও বলেন, আগামীকাল প্রক্টোরিয়াল টিম ও ডাকসুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আজকের আন্দোলনে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল কিনা এবং তাদের দাবিগুলো কী ছিল, তা খতিয়ে দেখে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।