হুন্ডি-বেটিং-মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সারাদেশের ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে বিকাশের কর্মশালা

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ডিস্ট্রিবিউটররা কীভাবে কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা করে ঝুঁকিমুক্ত থেকেছেন, সেসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ডিস্ট্রিবিউটররা কীভাবে কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা করে ঝুঁকিমুক্ত থেকেছেন, সেসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন © সংগৃহীত

হুন্ডি, বেটিং ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো আর্থিক অপরাধ প্রতিরোধে আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণে সারাদেশের ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে ঢাকা, খুলনা, বগুড়া ও কুমিল্লায় পৃথক চারটি সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করেছে বিকাশ। ডিস্ট্রিবিউটরদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী কর্মশালাগুলোতে দেশজুড়ে বিস্তৃত এজেন্ট নেটওয়ার্ক পরিচালনায় তাদের আর্থিক লেনদেনে সঠিক তথ্য নিশ্চিতকরণ, টাকার উৎসের সচেতনতা, সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্টিং, নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ, কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ, নন-কমপ্লায়েন্ট এজেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সব শ্রেণির মানুষের কাছে বিকাশের সেবা সহজলভ্য করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে দেশজুড়ে বিস্তৃত বিকাশ এজেন্ট নেটওয়ার্ক। বিকাশের চ্যানেল পার্টনার হিসেবে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি এজেন্ট নিয়ে গড়ে ওঠা এই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা কেবল এজেন্টদের ব্যবসা পরিচালনা তদারকিই নয়, বরং তাদের প্রশিক্ষণ, লেনদেনের সঠিকতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত সহায়তা ও নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। 

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ডিস্ট্রিবিউটররা কীভাবে কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা করে ঝুঁকিমুক্ত থেকেছেন, সেসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কমপ্লায়েন্স মেনে চলার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বিকাশ এর পক্ষ থেকে যেসকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তা ব্যবসার জন্য সুবিধাজনক বলেও উল্লেখ করেন তারা। এ সময় হুন্ডি, বেটিং ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে নজরদারি বাড়ানো, যথাযথ সময়ে রিপোর্টিং এবং সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে জোর দেওয়া হয় বিকাশের পক্ষ থেকে। 

অনুষ্ঠানে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, বিকাশ ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সমন্বিত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশজুড়ে ৮ কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন সেবা। ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট এর মতো বেসিক সেবার বাইরেও প্রতিনিয়ত বৈচিত্র‌্যপূর্ণ সেবার সংযোজনে এজেন্ট পয়েন্টগুলো গ্রাহকের জন্য আর্থিক প্রাপ্যতা ও ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এসব সেবাকে সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে এই ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রশিক্ষণ পর্বে বিকাশের হেড অব ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড রিটেইল বিজনেস মোহাম্মদ ইরফানুল হক বলেন, বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল পেমেন্টের অবকাঠামো তৈরিতে সবচেয়ে জোরালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, কমপ্লায়েন্সকেই ব্যবসা পরিচালনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে বিকাশ। সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক লেনদেনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে হুন্ডি, বেটিং বা মানি লন্ডারিং মতো অপতৎপরতায় গুটিকয়েক অসাধু চক্রের যে সংশ্লিষ্টতা দেখা যাচ্ছে, তা সনাক্ত ও প্রতিরোধে ডিস্ট্রিবিউটরদের সুনিপুণ তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা হচ্ছে।  

উল্লেখ্য, বিকাশের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলমান।