রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

যুবদলের কর্মী মুহাম্মদ আলমগীর আলম
যুবদলের কর্মী মুহাম্মদ আলমগীর আলম © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হয়েছেন মুহাম্মদ আলমগীর আলম (৪৫) নামের যুবদলের এক কর্মী। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজানের চারাবটতল বাজার-সংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

যুবদল কর্মী আলমগীর আলম মোটরসাইকেলে পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তার স্ত্রী ও সন্তান মোটরসাইকেলের পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। এ ঘটনায় আলমগীর আলমের আত্মীয় মুহাম্মদ রিয়াদও (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

নিহত আলমগীর আলমের বাড়ি ঢালার মুখ এলাকায়। তিনি আবদুস সত্তারের ছেলে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তিনি একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কায়কোবাদ জামে মসজিদের কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা অস্ত্রধারীরা আলমগীরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অস্ত্রধারীরা তাকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি। নিহত আলমগীরের শরীরে ৫টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, দুর্বৃত্তদের গুলিতে আলমগীর নিহত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার এক বিবৃতিতে আলমগীরকে যুবদল কর্মী দাবি করে তার হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন।

এর আগে ৭ অক্টোবর উপজেলার বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) রাউজানের খামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাটে চলন্ত গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলায় আরও একটি হত্যার ঘটনা ঘটল।