আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সীরাতের বাস্তবায়ন জরুরি: মুফতি রেজাউল করিম
- ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৬
আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সীরাতের বাস্তবায়ন জরুরি বরে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সিরাত কনফারেন্স ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্র পরিচালনা ও সমাজ ব্যবস্থায় রাসুলের সিরাতের অনুপস্থিতি আজ মুসলিম হিসেবে লজ্জার।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশে সর্বত্র যে অস্থিরতা ও অনৈতিকতার বিস্তার ঘটেছে, তার মূল কারণ হচ্ছে সিরাতের বাস্তবায়ন না থাকা। আল্লাহর রাসুলের (সা.) জীবনবোধ ও শিক্ষাই মানুষের মধ্যে ন্যায়, শান্তি ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ। তাই, জাতির মুক্তি সিরাতের অনুসরণেই নিহিত।
তিনি বলেন, আমরা যদি সিরাতের শিক্ষাকে ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রজীবনের প্রতিটি স্তরে প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আসবে। ইসলাম কেবল নামাজ, রোজা বা হজে সীমাবদ্ধ নয়, এটি এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, যা রাষ্ট্র পরিচালনার দিকনির্দেশনাও দেয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ড. এসওয়াই ইউসুফ রমাদান কনফারেন্সে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পাশে যে আন্তরিকতা নিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাই সিরাতের বাস্তব শিক্ষা। সিরাত জানার কারণেই তারা নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম বলেন, মানুষরূপী অমানুষদের মানুষ বানাতেই নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। তাই শুধু সিরাত জানা যথেষ্ট নয়, বরং সেই সিরাত মানার চেষ্টাই পারে প্রকৃত মানুষ তৈরি করতে।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সিরাত বাস্তবায়নের মাধ্যমে অনুপম আদর্শ সমাজ গঠন করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
কনফারেন্সে কবি মুসা আল হাফিজ, ড. আবিদ হোসেন, ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী, আবদুস সাত্তার আইনি ও আহমাদ রফিককে সিরাত গবেষক ও লেখক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি সিরাতভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সিরাত কনফারেন্স বিকেল ২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজি ও মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী।