সাইবার বুলিংয়ের শিকার ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেবে বাংলাদেশ রেজোনেয়ার

বাংলাদেশ রেজোনেয়ারের সেমিনার
বাংলাদেশ রেজোনেয়ারের সেমিনার © সংগৃহীত

তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সামাজিক উন্নয়নমূলক অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেজোনেয়ার নতুন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৪০ তরুণ-তরুণীকে ডিজিটাল লিটারেসি প্রশিক্ষণ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া সাতটি ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ চালানো হবে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনের কনফারেন্স হলে ‘সাইবার বুলিং অ্যান্ড ইয়াং উইমেন ইন বাংলাদেশ: হিলিং, এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে সংগঠনটির সভাপতি জান্নাতুল নওরিন উর্মি এই ঘোষণা দেন।

অনলাইন হয়রানির ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, মানসিক পুনরুদ্ধার ও ক্ষমতায়নের পথ দেখানো এবং তরুণ সমাজের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা জোগানো এই সেমিনারটির মূল লক্ষ্য। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সেন্ট্রাল ড্রাগ অ্যাডিকশন ট্রিটমেন্ট সেন্টারের রেসিডেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট মো. রাহানুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ জালাল খান, সাংবাদিক সানজিদা ইসলাম জুঁই ও ভারতের পলিটি অ্যাকশন ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা নিবেদিতা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে দ্য বাংলাদেশ রেজোনেয়ারের সভাপতি জান্নাতুল নওরিন উর্মি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি ডিজিটাল প্রজন্ম তৈরি করা, যারা প্রযুক্তিকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করবে এবং অনলাইন সহিংসতা বা হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতন ও দৃঢ় ভূমিকা পালন করবে।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ জন তরুণ-তরুণীকে ডিজিটাল লিটারেসি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭টি পৃথক ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীদের অনলাইন নিরাপত্তা, সাইবার বুলিং প্রতিরোধ ও ডিজিটাল অধিকার বিষয়ে সচেতন করা হবে।

ঘোষণায় আরও জানানো হয়, সাইবার বুলিংয়ের শিকার ব্যক্তিরা তিনজন খ্যাতনামা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সরাসরি কাউন্সেলিং ও মনোসামাজিক সহায়তা পাবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা মানসিক পুনর্বাসন, আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠন ও সামাজিক সংহতি পুনঃস্থাপনের সুযোগ পাবেন।