নিরাপদ সমুদ্র পর্যটনে জরুরি সতর্কবার্তা, মানতে হবে ১২ নির্দেশনা

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত © উইকিপিডিয়া

নিরাপদ সমুদ্র পর্যটনের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বার্তা দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ সমুদ্র পর্যটনের জন্য পর্যটকদের ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিরাপদ সমুদ্র পর্যটনের জন্য জরুরি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লাল পতাকা চিহ্নিত জায়গা বিপজ্জনক। লাল পতাকা চিহ্নিত স্থানে পানিতে নামা যাবে না; জেলা প্রশাসন, টুরিস্ট পুলিশ, বীচকর্মী এবং লাইফ গার্ড সর্বদা পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত আছে। তাঁদের নির্দেশনা মেনে চলুন এবং নিরাপদ সমুদ্রসীমার মধ্যে অবস্থান করুন।

লাইফগার্ড সার্ভিস বিদ্যমান রয়েছে এমন স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও পানিতে নামবেন না। এই সীমানার বাইরে পানিতে ডুবে গেলে কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না; পানিতে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় এবং সাগরের বিপদ সংকেত সম্পর্কে জেনে নিন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় পানিতে নামা থেকে বিরত থাকুন; ভাটার টান চলাকালীন বেপরোয়াভাবে সাগরে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ শুরু নভেম্বরে, এগিয়ে এলো রাত্রিযাপনের সময়

সাঁতার জানার দক্ষতা না থাকলে সমুদ্রে নামা পরিহার করতে হবে; সব হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ এবং রিসোর্টসমূহ আবশ্যিকভাবে পর্যটককে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ বা ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করবে; লাইফগার্ড হিসেবে টিউব পরিহার করুন এবং লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।

আপনার শিশুকে সব সময় তত্ত্বাবধানে রাখুন। শিশুদের কখনো একা ছাড়বেন না। সৈকত এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা কিংবা শিশু নিয়ে আসলে অবশ্যই তার ছবি মোবাইলে রাখুন; পানির তীব্র স্রোত, ঘূর্ণি স্রোত, উল্টো স্রোত বা নিম্নমুখী প্রবাহ বিপদজনক। সমুদ্রতটে বালি সরে গিয়ে ছোট-বড় কিছু গর্ত তৈরি হতে পারে, যা বিপজ্জনক; প্রতিকূল আবহাওয়ায় পানিতে নামা থেকে বিরত থাকুন।

অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তি উদ্ধার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে উদ্ধারকারীরও জীবন বিপন্ন হবার সম্ভাবনা থাকে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।