ময়মনসিংহে ভেজাল লাল চিনি তৈরির কারখানায় অভিযান

জব্দ করা চিনি পিকআপে তোলা হচ্ছে
জব্দ করা চিনি পিকআপে তোলা হচ্ছে © টিডিসি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ভেজাল লাল চিনি তৈরি করার কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড খালপাড়-সংলগ্ন একটি আধা পাকা বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় এক ভেজালকারী ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

আটক ওই ভেজালকারী ব্যবসায়ীর নাম আ. ছালাম। তিনি একই উপজেলার পলাশতলী বয়ারমারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।

এলাকাবাসী ও প্রশাসন জানান, খালপাড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লাহিড়ী পাড়ার ভেজালকারবারী আ. মজিদ ও আ. ছালাম মিলে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সামনে পাটের ব্যবসার আড়ালে ভেতরে ভেজাল লাল চিনি তৈরি করছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ভেজাল লাল চিনি ১ হাজার ৭৫০ কেজি, ১ ড্রাম লালি, ১টি কড়াই জব্দ করে। অপর এক অটো গাড়িতে থাকা ৬ বস্তা ভেজাল লাল চিনিসহ ব্যবসায়ী একই উপজেলার পলাশতলী বয়ারমারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর পুত্র আ. ছালামকে আটক করে। খাদ্যে ভেজাল মিশ্রিত করার দায়ে ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। একই এলাকায় কয়েক বছর আগে র‌্যাবের একটি দল আ. মজিদের ভেজাল লাল চিনি তৈরির কারখায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল চিনি, ভেজাল চিনি তৈরির মেশিন জব্দ করেছিল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘সদ্য জিআই ঘোষণা করা পণ্য হিসেবে লাল চিনির সুনাম বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে সহজে কেউ লাল চিনি ভেজাল করার সাহস পাবে না।’

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহি ম্যাজিস্ট্যাট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যারা আমাদের জিআই হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পণ্যে ভেজাল করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’