জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন জবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন জবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা © টিডিসি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাষ্কর্য চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা —‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোর রক্ষা নাই; খুন হয়েছে আমার ভাই, বর্ষা তোর রক্ষা নাই; আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না; আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে; একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন, জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এ সময় পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রিপন রউফ রিপন বলেন, পুলিশ যে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে তা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তারা এখনো সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারেনি। আমি দাবি জানাই, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আমরা দোষীদের ফাঁসি চাই।’

আরও পড়ুন : ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প সাজিয়ে জুবায়েদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করছে’

জুবায়েদের সহপাঠী সজল বলেন, ‘পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা মাহিদ নয়, এই ঘটনায় তার পরিবারও জড়িত। আমরা জবিয়ানরা পুলিশের কোনো টালবাহানা মেনে নেব না। গতকাল মঙ্গলবার কোর্টে পুলিশ আমাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। আমাদের এক বান্ধবি ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেয়া হয়। পুলিশের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হোক।’

প্রসঙ্গত, জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও জবি শাখা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। 

গত এক বছর ধরে জুবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স ক্যামেস্ট্রী ও বায়োলজি পড়াতেন। রবিবার আনুমানিক বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওই ছাত্রীর বাসায় তিন তলার সিঁড়িতে তিনি খুন হন। বাসার নিচ তলার সিঁড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিঁড়িতে রক্ত পড়েছিল।