সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: তৃতীয় দফায় রিমান্ডে মার্কিন নাগরিক এনায়েত

আদালতে এনায়েত
আদালতে এনায়েত © টিডিসি ফটো

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মন্ত্রীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে এই মামলায় দুই দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

এদিন কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশেরে রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। এসময় আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, এনায়েত করিম চৌধুরী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। তিনি ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান ও ২০০৪ সালে আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্যদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরতে থাকেন এনায়েত করিম চৌধুরী। তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তার গাড়ি থামায়। কেন এখানে ঘোরাঘুরি করছেন, জানতে চাইলে তিনি পুলিশকে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এজন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার কাছে থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মামলা করেন। এ মামলায় দুই দফায় এনায়েত করিমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ ও যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।